কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: রাজ্য জুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে দীঘার জগন্নাথমন্দির (Digha Jagannath Temple) এবং দীঘার জগন্নাথদেবের প্রসাদ (Mahaprasad of Jahannath Dev) বিতরণ। অবিশ্বাস্য এক কর্মযজ্ঞ। একাদশ দিনের রথযাত্রা উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটল আজ।
১১ দিনে ১৪ লক্ষেরও বেশি
অবশেষে, রসগোল্লা দিয়ে লক্ষ্মী দেবীকে সন্তুষ্ট করে ভগবান জগন্নাথদেব দীঘা জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি লাভ করেন। এর মাধ্যমেই সুন্দর রথযাত্রা উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটল। প্রসঙ্গত, আজ পর্যন্ত, ১৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ দীঘা জগন্নাথ ধামে ১১ দিনের রথযাত্রা উৎসবে অংশগ্রহণ ও দর্শন করেছেন।
১ কোটি ৩৫ লক্ষ
রাজ্য জুড়ে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষের ঘরে ঘরে দীঘার জগন্নাথমন্দিরের প্রসাদ পৌঁছে দিতে দীঘার জগন্নাথমন্দির থেকে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। দীঘা জগন্নাথধাম ট্রাস্টি সদস্য ও কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস জানিয়েছেন কলকাতা থেকে ইতিমধ্যে দীঘায় এসে পৌঁছেছে ৩০০ কেজি বিশুদ্ধ খোয়া ক্ষীর। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেই ক্ষীর নিবেদন করা হয় জগন্নাথদেবের চরণে।
১৭ জুন থেকে
আগামী ১৭ জুন থেকে এই প্রসাদী পবিত্র ক্ষীরভোগের মিশ্রণের গজা ও পেড়া তৈরি প্যাকেট পৌঁছে যাবে বাংলার প্রতিটি বাড়িতে, ঘরে-ঘরে, প্রতিটি মানুষের হাতে। প্রসাদ তৈরির জগন্নাথধামের এই ক্ষীর পৌঁছে যাবে জেলার মিষ্টির দোকানগুলিতে। সেখানে তৈরি হবে গজা, পেড়া-সহ নানা মিষ্টি। এরপর তা সিল করা প্যাকেটে ভরে পাঠানো হবে রাজ্যের প্রতিটি কোণে।
‘প্রসাদী ক্ষীর’
তবে এই উদ্যোগ ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘এটি আদৌ মন্দিরের প্রসাদ নয়, বরং এ একপ্রকার সরকারি প্রচার।’ যদিও ট্রাস্ট ও সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, এটি ‘প্রসাদী ক্ষীর’ মিশিয়ে তৈরি বিশুদ্ধ প্রসাদ। ‘প্রসাদের স্বাদেই মিলবে ভক্তির ছোঁয়া’– এমন আশ্বাসেই শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক এই কর্মসূচির যাত্রা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)