প্রদ্যুত দাস: একই মামলায় ৩ জনকে ফাঁসীর সাজা। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তিন অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড।
১১ আগস্ট, ২০২০ তারিখে, রাজগঞ্জ থানার অন্তর্গত লালস্কুল বালাবাড়ির ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী তার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরিবারের ব্যাপক খোঁজাখুজির পরও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার বাবা অভিযোগ দায়ের করেন, যার ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ASI দেবাশীষ পাল তদন্ত শুরু করেন। তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেন- রহমান আলী, জামিরুল হক এবং তামিরুল হক। অপরাধীদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে, নিখোঁজ মেয়েটির মৃতদেহ একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে পাওয়া যায়।
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তিন জনের ফাঁসির নির্দেশ। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু শূর ওই নির্দেশ দেন। ২০২০ সালের আগস্টে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ এলাকায়। অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের পর ওই নাবালিকাকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
ধর্ষণ, হত্যা এবং পকসো আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ যুক্ত করার পর তদন্তটি পরবর্তীতে তৎকালীন সার্কেল ইন্সপেক্টর দীপজ্জল ভৌমিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি তদন্ত সম্পন্ন করেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করেন।
তদন্তে জানা যায় যে তিনজন মিলেই অভিযুক্তই নাবালিকা মেয়েটিকে অপহরণ করে, জোহরি ডাঙ্গাপাড়ায় কোতোয়ালি থানা এলাকায় নিয়ে যায় এবং যৌন নির্যাতন করে। ২-৩ দিন পর, এই ঘটনা প্রকাশ পাবে সেই ভয়ে, তারা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তাদের অপরাধ লুকানোর জন্য তাঁর দেহ একটি সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে লুকিয়ে রাখে।
এরপর রাজগঞ্জ থানায় নিখোঁজ এর অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এরপর নাবালিকার মায়ের মোবাইলে পাওয়া অডিও টেপের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা হল রহমান আলি(৩০), বাড়ি রাজগঞ্জের প্রধানপাড়ায়, জমিরুল হক(২৮), বাড়ি শৌলমারি এবং তমিরুল হক(৩২),বাড়ি সদর ব্লকের জহুরির ডাঙ্গামারি এলাকায়।
১০ জুলাই, ২০২৫ তারিখে খোলা আদালতে বিচারের পর, জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত, এডিজি ১ম আদালত, নাবালিকা মেয়েটিকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে তিনজন দোষী – রহমান আলী, জামিরুল হক এবং তামিরুল হককে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
