জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সম্প্রতি কসবা কাণ্ডে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে রাজ্য। নির্যাতিতার বয়ানে শিউরে উঠেছিল অনেকেই। কসবা ল কলেজের ধর্ষণকাণ্ডে কলকাতা পুলিস বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করে। কসবার আইন কলেজের পড়ুয়াকে ধর্ষণ মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এদিন নির্যাতিতার পরিবার আদালতে ফের জানায়, পুলিস বা সিটের তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট।
পাশাপাশি, এই ঘটনার কেস ডায়েরিও আদালতে জমা দিল পুলিস। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালতে সিল করা খামে তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট ও ১৬৪ ধারায় নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি পেশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী অরিন্দম জানা দাবি করেন, এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ নেই। পুলিসি তদন্তে সন্তুষ্ট নির্যাতিতার পরিবার। তদন্ত রিপোর্টের কপি হাতে চান তিনি। আইনজীবী বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্টের কপি হাতে পেলে আমরাও জানতে পারব যে তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে।’ ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি মিতা দাস দে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য কেবলমাত্র নির্যাতিতার পরিবার দেখতে পারবেন। সংবাদমাধ্যম কিংবা কোনও তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে তা ভাগ করা যাবে না। আদালতের নিরাপদ হেফাজতেই থাকবে সমস্ত তথ্য।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন, কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। নির্যাতিতা দাবি করেন, ২৫ জুন সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকা হয়েছিল কলেজে। পরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে। রক্ষীকে সেই সময়ে বাইরে বসিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কলেজের নিরাপত্তারক্ষী-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
বর্তমানে ন’জন ‘সিট’সদস্য তদন্ত করছেন। নির্যাতিতা ছাত্রী ও তিন অভিযুক্তর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।পুলিস আদালতে অভিযোগ করে, অভিযুক্তেরা তদন্তে সহযোগিতা করছে না। তবে নতুন করে কারও পুলিসি হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়নি। আদালত ধৃতদের ২২ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)