Sreerampoor A Hearse controversy: শববাহী গাড়িতে দেদার মদ খেয়ে শবাসনে আয়েশ চালক আর হেল্পারের! শ্রীরামপুরের মাতাল-চিত্রে ‘জয় বাংলা’ মিম


বিধান সরকার: শববাহী গাড়িতে মদ খেয়ে শব আসন চালক আর খালাসির! ছবি ভাইরাল হতেই বিরোধীদের কটাক্ষ “জয় বাংলা”। অন ডিউটি অবস্থায় মদ খেয়ে এমন কান্ড করায় দুজনকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উত্তরপাড়া পুরসভা শববাহী গাড়ি: 

উত্তরপাড়া পুরসভা পরিচালিত মহামায়া শিশু ও মাতৃমঙ্গল কেন্দ্রের শববাহী গাড়ি গতকাল রাতে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে গিয়েছিল মৃতদেহ আনতে। সময় হয়ে গেলেও সেই গাড়ি হাসপাতালে ফেরেনি। সামাজিক মাধ্যমে সেই শববাহী গাড়ির ছবি ভাইরাল হয়।

সেখানে দেখা যায়,গাড়ির চালক তার সিটে উপুর হয়ে পরে আছেন। গাড়ির চাবি, পুরসভার আই কার্ড, গাড়ির সিটে পরে। আর তার হেল্পার, যে ট্রেতে করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় সেই ট্রের মধ্যে শুয়ে আছেন। দুজনেই বেহুশ। ডাকলেও কোনও সাড়া নেই। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সরব হয়েছে বিরোধীরা।

হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ: 

বাম বিজেপি এক যোগে পুরসভার এবং হাসপাতাল পরিচালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। চারিদিকে নানা রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে তারপরও হুশ নেই। যে অ্যাম্বুলেন্স  শববাহী গাড়ি চালায় তাড়াই যদি এভাবে নেশা করে বেহুশ হয়ে পরে থাকে তাহলে কী হবে?

বিরোধীদের বক্তব্য: 

বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায় বলেন,এখন তো রাজ্য সরকার মদেই চলছে। আর উত্তরপাড়ার বিধায়ক সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে হুমকি দিচ্ছে। এই তো চলছে।

সংস্থার বক্তব্য: 

মহামায়া শিশু ও মাতৃমঙ্গল কেন্দ্রের ম্যানেজার সুমনা মহালানবিশ বলেন,আমরা বিষয়টা জানতে পেরেছি। আমাদের কাছে খুবই বেদনাদায়ক। কখনই আশা করিনি। কালকে একজন মারা গিয়েছিল শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতাল এ গিয়েছিল দেহ আনতে। তারপর সম্ভবত শ্মশানে গিয়েছিল। 

গাড়িটাকে ভিতরে না ঢুকিয়ে অন ডিউটি অবস্থায় ইউনিফর্ম পড়ে এ ধরনের কান্ড ঘটিয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি দুজনকেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওরা আজ থেকেই কাজে যোগ দিচ্ছে না। অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল তখনও গাড়িটা ঢুকছে না তখনই জানতে পারলাম। অন ডিউটি অবস্থায় মদ্যপান করেছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *