Vidyasagar University Controversy: ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী!’, প্রশ্ন ভুলের‌ ঘটনায় ক্ষমা চাইল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়…


চম্পক দত্ত: প্রশ্ন ভুলের‌ ঘটনায় ক্ষমা চাইল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিপ্লবীরা কি সন্ত্রাসবাদী, প্রশ্নে শুরু হয়েছিল চাপানউতোর। এ ক্ষেত্রে চাপানউতোরের সূত্রপাত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রশ্নপত্র ঘিরে। বুধবার ছিল স্নাতকস্তরের ষষ্ঠ সিমেস্টারের ইতিহাসের পরীক্ষা। একটি প্রশ্নে ছিল, ‘মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম কর, যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?’ এই প্রশ্ন ঘিরেই বেঁধেছিল বিতর্ক।

আরও পড়ুন, Viral Photo: হাতে রাইফেল, পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে TMC বিধায়কের নাবালক নাতি! ছবি ভাইরাল….

তিন ইংরেজ জেলাশাসক খুন হয়েছিলেন বিপ্লবীদের হাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার কর বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, এটা ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল। ইতিহাস প্রশ্নপত্রে এই ভুল মুদ্রণের জন্য দু:খিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।’ তিনি এটাও জানান, ইতিহাস পরীক্ষায় প্রশ্ন ‘ভুল’-এর ঘটনায় ইউজি বোর্ড অফ স্টাডিজের চেয়ারম্যান (বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক) এবং মডারেশন বোর্ডের এক মেম্বারের (একটি কলেজের অধ্যাপক) সই ছিল তাঁদের দু’জনকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং দুজন কে সতর্ক করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, ‘এই অনিচ্ছাকৃত ভুল বা অসাবধানতা জনিত ত্রুটির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি ব্যক্তিগতভাবে লজ্জিত ও আহত।’ উপাচার্য বলেন, ‘টাইপোগ্রাফিক্যাল ভুল বা প্রিন্টিং মিসটেকের জন্য তাঁদের সরিয়ে দিচ্ছি। সারা দেশের মানুষের কাছে বিশেষ করে দেশপ্রেমী মানুষের কাছে আমাদের এটাই বার্তা। কেউ আহত হয়ে থাকেন তার জন্য বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী।’

এদিন সকাল ১১টা থেকে ইতিহাস সহ সমস্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে প্রায় দুঘন্টা বৈঠক করেন উপাচার্য। পরীক্ষা নিয়ামক এবং ইউজিসি বোর্ড অফ চেয়ারম্যানের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। তাদের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই দুজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং অন্যজন কলেজের অধ্যাপক। তাদের অব্যাহতি দেওয়ার পর সিনিয়র দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, এই ঘটনা লজ্জাজনক বলে আখ্যা দিয়ে এবং ব্যথিত হয়েছেন বলে স্বাধীনতা সংগ্রামী পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। প্রশ্নপত্রে যে তিনজন জেলাশাসকের নাম জানতে চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে ১৯৩১ সালে বিমল দাশগুপ্ত জেমস পেডিকে হত্যা করেছিলেন। তার ছেলে এখনো থাকেন মেদিনীপুর শহরে। তার আক্ষেপ এই কি আমরা স্বাধীন হয়েছি। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে উপাচার্য রুমের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র ছাত্রীরা।

আরও পড়ুন, Vidyasagar University Controversy: ‘বিপ্লবীরা সন্ত্রাসবাদী!’ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রশ্ন ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক…

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *