পিয়ালি মিত্র ও অশোক মান্না: আই আই এম জোকার ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই, এক পড়ুয়াকে আটক করেছে পুলিস। এরই মধ্যে এবার অবাক করা বয়ান তরুণী বাবার। হরিদেবপুর থানায় নিজেই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তরুণী। এদিকে, অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে, তরুণীর বাবার দাবি, শুক্রবার রাত ৯:৩৪ মিনিট নাগাদ ফোন পায় তার মেয়ে অটো থেকে পড়ে গিয়েছিল এবং অটো থেকে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
নির্যাতিতার বাবার দাবি, ধর্ষণই নাকি হয়নি। তরুণীকে এমন বয়ান দিতে বলা হয়েছিল বলেই দাবি তাঁর। তিনি বলেন, আমি জানতে পারি মেয়ে এসএসকেএম নিউরোলজিস্ট ডিপার্টমেন্টে রয়েছে। মেয়েকে হরিদেবপুর থানা পুলিস উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। মেয়ে বাড়িতে ফেরার পর তার বাবাকে জানায়, আমার সাথে ধর্ষণের মতো এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বা শারীরিক নির্যাতন করেনি।
এমনকী যে গ্রেফতার হয়েছে তার সঙ্গে মেয়ের কোনও সম্পর্ক নেই দাবি বাবার। তরুণীর বাবা আরও বলেন, মেয়ের সঙ্গে আমি পরিষ্কার করে কথা বলতে পারিনি মেয়ে ঘুমাচ্ছে। হরিদেবপুর থানার পুলিস তার মেয়েকে কোথা থেকে পেয়েছেন সেটাও জানেন না তার বাবা। অভিযোগ মেয়ে লেখেনি এমনটাই মন্তব্য তার বাবার।
তাহলে পুলিসে অভিযোগ কেন?
আইআইএম জোকার ছাত্রী নয় কিন্তু তা সত্বেও ক্যাম্পাসের ভেতরে ওই মহিলাকে কেন ডাকা হয়েছিল? সূত্রের খবর ডেটিং সাইটে আলাপ হয় দুজনের এবং সেই সূত্রেই ক্যাম্পাসে ওই মহিলা এসেছিলেন। অভিযোগকারী মহিলার দাবি, আইআইএম জোকার ছাত্রই তাকে ক্যাম্পাসের মধ্যে ডেকেছিলেন। এসব নিয়ে ইতিমধ্যেই জটিল হচ্ছে রহস্য। মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে কিছুটা সময় লাগবে বলেই দাবি তাঁর। নির্যাতিতার বাবার দাবি, জোর করে অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে সূত্রের খবর, মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে নিয়ে গেলে টেস্ট করাতে অস্বীকার করেন। যদিও অভিযোগপত্রে যা উল্লেখ সেই বয়ানই তিনি ডাক্তারেরও সামনেও দেন বলে খবর। তবে ফোন বা ঘটনার সময় থাকা পরনের পোশাকও দিতে অস্বীকার খবর সূত্রের। অভিযুক্ত তদন্তকারীদের বিভ্রান্তিকর বয়ান দিচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে দাবি।
এমনকী তাঁর মোবাইল থেকে তথ্য উদ্ধারের জন্য পাসওয়ার্ড চাইলে সে বিষয়ে উত্তর দিচ্ছে না বলে পুলিস সূত্রের খবর।
এদিকে সকাল ১১.৪৫ থেকে রাত ৮.৩৫ মধ্যে ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। কলেজের লেক ভিউ হস্টেলে রুম নম্বর ১৫১ তে আচ্ছন্ন অবস্থায় ৮ ঘন্টা আটকে থাকে তরুণী দাবি পুলিস সূত্রের। লেক ভিউ হস্টেলেপ রুম নম্বর ১৫১ করা হয় ধর্ষণ, অভিযোগ । ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধর্ষণ ও ১২৩ ক্ষতির উদ্দেশ্য মাদকজাতীয় দ্রব্য সেবন করানো ধারা ছিল আগে। পরে আরও তিনটে ধারা যুক্ত করল পুলিস ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১২৭(২) – জোর করে আটকে রাখা, ১১৫ (২) খতির উদ্দেশে আঘাত, ৭৬- মারধর।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)