জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শুধুমাত্র নোনতা বা মিষ্টি নয়, শিঙাড়া-জিলিপির সঙ্গে জড়িয়ে বাঙালির ইমোশন। সন্ধের আড্ডা হোক বা বাড়িতে হঠাত্ অতিথির আগমন, বাঙালির সর্বকালের পছন্দের কম্বো শিঙাড়া জিলিপি। এহেন বাঙালির পছন্দের খাবারে ‘সতর্কীকরণ’ জারি করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘অয়েল অ্যান্ড ফ্যাট বোর্ড’এর নির্দেশ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন জিলিপি-শিঙাড়ার মতো খাবারের ক্যালোরি, ট্রান্স-ফ্যাট ও চিনির পরিমাণ জানিয়ে স্টিকার দিতে হবে অর্থাত্ এই খাবার অস্বাস্থ্যকর বলে জারি করতে হবে সতর্কতা। এই নির্দেশিকা বাংলায় চলবে না বলে তীব্র বিরোধিতা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: ‘আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি, অসম বন্যাত্রাণে টাকা পায়, বাংলা পায় না’!
কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, শিঙাড়া জিলিপি সহ বেশ কিছু ভাজা খাবারে থাকা ক্যালোরি, ট্রান্স-ফ্যাট ও চিনি সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পোস্টার আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টাঙাতে হবে। যদিও এই ধরনের খাবার বিক্রিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে এই সমস্ত খাবার অস্বাস্থ্য়কর বলে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। তৃণমূলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খাবারে কোনও ফতোয়া চলবে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে এখন থেকে নাকি শিঙাড়া/জিলিপি খাওয়া যাবে না। এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনো বিজ্ঞপ্তি নয়। আমরা সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকরও করব না। আমার মনে হয়, সিঙ্গাড়া এবং জিলিপি অন্যান্য রাজ্যেও জনপ্রিয়। সেইসব রাজ্যের মানুষরাও এই খাবারগুলি ভালোবাসেন। মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা সঠিক কাজ নয়”।
কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে এখন থেকে নাকি সিঙ্গাড়া/জিলিপি খাওয়া যাবে না। এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনো বিজ্ঞপ্তি নয়। আমরা সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকরও করব না।
আমার মনে হয়, সিঙ্গাড়া এবং জিলিপি অন্যান্য…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 15, 2025
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার শিঙাড়া, জিলিপির উপর বিধি আরোপ করেছেন। আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য বাংলায় শিঙাড়া, জিলিপির ওপর ফতোয়া মানা হবে না৷ কে কী খাবে? সেটা তার একান্ত নিজস্ব ব্যাপার৷ স্বাস্থ্য সম্মত হলেই হবে। তামাকজাত দ্রব্য একটা আকারে বিক্রি হয়৷ শিঙাড়া, জিলিপি হল বাংলার ঘরের খাবার। যে ধরণের কথা তারা বলে চলেছেন, সেটা মানা হবে না৷ গুণগত মান ঠিক থাকলেই হল।”
কোন প্রেক্ষিতে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই প্রসঙ্গে ওই চিকিৎসক বলেছেন, ‘‘চর্বি এবং শর্করা জাতীয় খাবারের কারণে তরুণ বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে শুরু করে একাধিক অসুখ হচ্ছে। ঘটছে প্রাণহানিও। সেই কারণেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সতর্ক করতে এই পদক্ষেপ।’’পাশাপাশি এই বিতর্কের মধ্যেই পিআইবি ফ্যাক্ট চেকের সাফাই, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শে কোথাও এমন কোনও ‘ওয়ার্নিং লেবেল’ সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা নেই, যা রাস্তাঘাটে বিক্রি হওয়া শিঙাড়া-জিলিপি-লাড্ডুর মতো ভারতীয় খাবারের উপর প্রযোজ্য। শিঙাড়া, জিলিপি ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে গুলাবজামুন, বড়াপাও, পকোড়া, চিপ্সের মতো একাধিক খাবার।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)