অরূপ লাহা: মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে কয়েকজন গ্রামবাসী কোনও রকমে হাঁটু সমান কাদা জল পেরিয়ে সৎকারের জন্য শ্মশানের উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলেছেন। শ্মশানযাত্রীরা তাদের সেই দুর্বিষহ যাত্রারই ছবি তুলে ধরেছেন নিজেদের মোবাইলে। আর সেই ছবিই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এ যেন মরেও শান্তি নেই! বেহাল রাস্তা,হাঁটু সমান কাদাজল পেরিয়ে দেহ সৎকার করতে নিয়ে যাওয়ার পথে হিমশিম অবস্থা শ্মশানযাত্রীদের।
পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের গোপালবেড়া পঞ্চায়েতের ইন্দুটি গ্রামের শ্মশান পর্যন্ত প্রায় ৮০০ মিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা। কাদাজল পেরিয়ে একপ্রকার বিপজ্জনকভাবে দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যেতে হয়। অভিযোগ, বারংবার পঞ্চায়েত ও প্রশাসনিক স্তরে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণের ফলে সেই রাস্তার অবস্থা আরও শোচনীয় হয়েছে। শনিবার গ্রামেরই একজন বাসিন্দা মারা গেলে তাকে রাস্তা খারাপের জন্য সেদিন দেহ সৎকার করা সম্ভব হয় নি। রবিবার সকাল হবার পর তাকে সৎকারের জন্য শ্মশান নিয়ে যাওয়ার সময়ই একেবারে হিমশিম দশা বাসিন্দাদের।
গ্রামবাসীদের দুর্দশার এই চিত্র সামনে আসতেই শাসকদলকে একযোগে আক্রমণ বিরোধী বাম-বিজেপি-র।
সিপিআইএম পূর্ববর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য বিনোদ ঘোষের কটাক্ষ,রাজ্যজুড়ে আসলে কসমেটিক উন্নয়ন চলছে।আজকের দিনে যেন মানুষের মরেও শান্তি নেই।হাসপাতালে যেতে গেলে যেমন কাদামাটি পেড়িয়ে যেতে হয়।ঠিক তেমনই মারা গেলেও কাদামাটি পেড়িয়ে যেতে হচ্ছে।আসলে তৃণমূল ব্যস্ত কাটমানিতে।
বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন,নিরানব্বই শতাংশ উন্নয়ন হয়ে গেছে বলে দাবী করে তৃণমূল কিন্তু আসলে চারিদিকে রাস্তার যা অবস্থা,মানুষের যে বেহাল পরিস্থিতি তা নিয়ে তারা ভাবিত নয়।আসলে তাঁরা কাটমানিতে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন-দক্ষিণবঙ্গে কমবে বৃষ্টি, বাড়বে তাপমাত্রা, তবে…
পাল্টা রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান,সারা বাংলাতে উন্নয়ন হয়েছে সেটা সিপিএম জানে আর বিজেপির এটা মুখের কথা।রাস্তাটি খারাপ আছে,জেলাপরিষদ রাস্তাটি নির্মাণ করে দেবে।
অন্যদিকে,দ্রুততার সাথে রাস্তা নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ববর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)