চম্পক দত্ত: চূড়ান্ত মধ্যযুগীয় বর্বরতা। প্রকাশ্যে নাবালিকার উপর অকথ্য অত্যাচার। প্রকাশ্য জনবহুল এলাকায় পুলিস ফাঁড়ির সামনেই এক স্কুল ছাত্রীকে গলায় ওড়না দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন মহিলা। রাস্তার দঁড়িতে সেই দৃশ্য দেখছে অনেকেই। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Medinipur) জেলার খড়ার পুলিস ফাঁড়ির সামনে খড়ার বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।
কারা ঘটনায় এই কাণ্ড?
জানা গিয়েছে, ঘাটাল ব্লকের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা বৃষ্টি দোলইকে তার মামাবাড়ির লোকজনেরা পুলিস ফাঁড়ির সামনেই গলায় ওড়না দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যায়।
কী কারণে এই ঘটনা?
মেয়েটির অপরাধ মা মারা যাওয়ার পর থেকে মামারবাড়িতেই মানুষ। আর বৃষ্টি বড় হতেই মামারবাড়িতে আর থাকতে চায়না সে, তাই সে চলে এসেছে তার বাবা, দাদাদের কাছে। আজ তাই সমস্যা সমাধানের জন্য বৃষ্টিকে এইভাবে দিনের আলোয় পুলিস ফাঁড়ির সামনে এইভাবে টানতে টানতে নিয়ে আসা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:Dilip Ghosh: ‘দেব ভালো ছেলে কিন্তু…’, ঘাটালের সাংসদকে নিয়ে বড় কথা বলে দিলেন দিলীপ!
কী বলছে বৃষ্টি:
বৃষ্টি ও তার দাদার দাবি, বৃষ্টি মামারবাড়িতে ফেরত যেতে চায় না। এমন ঘটনায় পড়েছে শোরগোল।
উল্লেখ্য, পুরীতে তরুণীর উপর প্রকাশ্যে ভয়ংকর অত্যাচার। জানা যায়, বন্ধুর বাড়ি থেকে বই দিয়ে ফিরছিল বছর পনেরোর তরুণীর। কিন্তু ফেরার পথে যে এত ভংয়কর কাণ্ড অপেক্ষা করছিল তা কে জানত! হঠাৎ তার রাস্তা আটকে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেলেন তিন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। পুরীর নিমাপাড়ায় প্রকাশ্য রাস্তায় ১৫ বছরের কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা।
ইতোমধ্যে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নির্যাতিতাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দিল্লি AIIMS-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মজিহি শনিবার জানিয়েছেন যে, পুরীতে দুষ্কৃতিকারীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া কিশোরীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লির এইমস (AIIMS) হাসপাতালে এয়ারলিফট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী। ওই কিশোরীর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)