নারায়ণ সিংহ রায়: পাচার হওয়ার আগেই শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশনে উদ্ধার ৫৬ জন যুবতী। উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নামী ফোনের কোম্পানিতে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই যুবতীদের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে আদতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিহারে।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নিয়ে এসে তাদের সবাইকে তোলা হয় এনজেপি পাটনা ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসে। কিন্তু আশ্চর্যজনক যুবতীদের কারোও কাছেই কোনও টিকিট ছিল না। তাদের প্রত্যেকের হাতেই একটি করে সিল ও সিট নম্বর লেখা ছিল। তা দেখে টিকিট চেকারের সন্দেহ হয়। একটি বগিতে এতগুলো যুবতী! কিন্তু তাদের কারও কাছেই কোনও টিকিট নেই! সবাই বলছে, তারা বেঙ্গালুরু যাবে, কিন্তু উঠেছে পাটনার ট্রেনে! সবমিলিয়ে সন্দেহ আরও গাঢ় হয়।
অন্যদিকে সোমবার সকালেই সূত্র মারফত ভিন রাজ্যে মাহিলাদের পাচারের খবর আসে রেল পুলিসের কাছে। যে টিপসের ভিত্তিতে যৌথভাবে অভিযান চালায় জিআইপি ও আরপিএফ। তখনই সোমবার রাতে উদ্ধার করা হয় ওই যুবতীদের। প্রায় ৫৬ জন যুবতীকে ট্রেন থেকে নামানো হয় এনজেপি স্টেশনে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তাদের বেঙ্গালুরুতে আইফোন কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার করে ট্রেনে বসানো হয়। কিন্তু তারা যে বিহারের পাটনার ট্রেনে বসে রয়েছে, সেই বিষয়ে তাদের কোনও ধারণা-ই নেই। এটা নারী পাচারের অন্যতম ছক বলে মনে করছে রেল পুলিস।
এই ঘটনায় দুজনের নাম উঠে আসে। যুবতীরা পুলিসকে জানায়, জীতেন্দ্র পাসওয়ান ও চন্দ্রিকা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এদের মধ্যে জীতেন্দ্র কলকাতার বাসিন্দা ও চন্দ্রিকা শিলিগুড়ির। ওই একই ট্রেনে ছিল এই দুজনও। যুবতীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসবাদ করে পুলিস। তাদের কাছে নথি দেখতে চায়। কিন্তু তারা কোনও নথি দেখাতে পারে না। সন্দেহ হয় পুলিসের। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে রেল পুলিস। ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)