Jalpaiguri News: রাখে হরি…! একবছরের ঘুমন্ত একরত্তিকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে মারল তবু, বেঁচে ফিরল ‘দেবশিশু’…


প্রদ্যোত্‍ দাস: রাখে হরি, মারে কে! এটা প্রবাদবাক্য হলেও, সময়ে সময়ে এই কথা ফলে যায়। যেমন হল জলপাইগুড়িতে। ঈশ্বর কাকে রাখবেন আর কাকে মারবেন এ নিতান্তই তাঁর ইচ্ছা। প্রমাণ হল আরেকবার। 

ঘটনার সূত্রপাত্‍: 

মাত্র এক বছরের ঘুমন্ত শিশু কন্যা সন্তানকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করার চেষ্টা। থানার দ্বারস্থ পরিবার। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনি দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সিঙ্গি মারি এলাকার ঘটনা। তবে বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে।

জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের বাসিন্দা বিষ্টু মোহন রায়ের স্ত্রী কোকিলা রায়, তিনি তার এক বছরের কন্যা সন্তানকে নিজের ঘরে ঘুম পাড়িয়ে, পাশের এক বাড়িতে, বাচ্চার ভেজা জামাকাপড় মেলে দিতে গিয়েছিলেন। পরে তিনি বাড়িতে ফিরে আসলে তিনি দেখতে পান কেউ তাঁর মেয়ের গলায় দড়ি পেঁচিয়ে রেখেছে। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করলে পাশাপাশি মানুষজন ছুটে আসে।

ঘটনার অভিঘাত: 

এই ঘটনায় কোকিলা রায় কিছুক্ষণের জন্য অজ্ঞান হয়ে যায় বলে জানা যায়। সেই সময় পাশের এক দোকানদার এসে দেখেন ঘুমন্ত মেয়ের গলায় দড়ি পেঁচানো অবস্থায়, তিনি ভাবেন মেয়েটি মারা গেছেন। এই অবস্থায় তিনি মেয়েটির হাত ধরে পালস দেখে বুঝতে পারেন শিশুটি জীবিত আছে। এই অবস্থায় শিশুটি র গলা থেকে দড়ি খুলে দেন। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রধান ও পঞ্চায়েতকে বিষয়টি জানান। যেহেতু শিশুটির বাবা একজন দিনমজুর সেই জন্য তিনি সকালে বেরিয়ে রাতে ফেরে বাড়িতে। পরে সব ঘটনা খুলে বলেন ককিলা রায় স্বামী বিষ্ণু মোহন রায়কে।

পুলিসি তদন্ত: 

বুধবার বিষ্ণু মোহন রায় ও তার স্ত্রী কোকিলা রায়, বাচ্চাটিকে নিয়ে দড়ি  সহ ময়নাগুড়ি থানায় আসেন এবং একটা লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

এলাকাবাসীদের বক্তব্য: 

এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, তাদের ধারণা যে এই দড়ি পেচিয়েছিল শিশুটির গলায় তার উদ্দেশ্য ছিল শিশুটিকে খুন করা। কী উদ্দেশ্যে খুন করা সেই বিষয় বলতে না পারলেও তাদের ধারণা এটাই। এলাকার মহিলারা জানান এই ঘটনায় পাড়া-প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত। সেইসঙ্গে কাল থেকে তাদের খাওয়া দাওয়া বন্ধ। কেন এই ঘটনা ঘটল ওই শিশুর সঙ্গে তার খোঁজ করছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক বলে দাবি পরিবারের। 
ময়নাগুড়ি থানা আই সি সুবল ঘোষ বলেন ঘটনার সত্যতা যাচাই করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *