আমগাছের মগডালে ১৩ ফুট লম্বা কিং কোবরা! উদ্ধার করতে বন দফতরের কর্মীরা সাপটির সামনে যেতেই ঘটে গেল…।king cobra worlds longest venomous snake on a mango treetop people scared


অরূপ বসাক: এক বিশাল বিষধর কিং কোবরা (king cobra)। শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্য ছড়ায় মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা (Nagrakata) ব্লকের ভুটান সীমান্ত লাগোয়া চ্যাংমারি চা-বাগানের আপার ডিভিশনের নেপালি লাইনে। চা-বাগানের শ্রমিকেরা প্রথমে আমগাছের মগডালে বিশাল সাপটিকে পেঁচিয়ে থাকতে দেখে আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে দেন। তবে তাঁরা তৎক্ষণাৎ খবর দেন বন দফতরের (West Bengal Forest Department) ডায়না রেঞ্জে।

আরও পড়ুন: Third Sawan Monday 2025: শ্রাবণের তৃতীয় সোমবারে ৩ অতি বিরল যোগ, ৩ অতি পুণ্য তিথি! ছোট্ট এই কাজটি করলেই শিবের কৃপায় মহাপ্রাপ্তি…

বন দফতর ও সর্পপ্রেমী

চা-বাগান থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন দফতরের কর্মীরা। কিন্তু আমগাছের প্রায় ২০ ফুট উপরে থাকা সাপটিকে উদ্ধার করা চাট্টিখানি কথা নয়। তাঁরাও প্রথমটা থমকে যান। পরে বন দফতরের তরফে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করা হয় সুলকাপাড়ার দুই অভিজ্ঞ সর্পপ্রেমী– সমাবেশ বিশ্বাস ও ফরিদুল হকের সঙ্গে। এই দুই সাপ উদ্ধারকারী তরুণ এসে পৌঁছলেই শুরু হয় সর্প-উদ্ধার অভিযান।

সর্প-উদ্ধার অভিযান

গাছের উঁচু মগডালে পাকিয়ে থাকা কিং কোবরাটিকে নামাতে সময় লেগে যায় বেশ কিছুক্ষণ। কিন্তু নিপুণ দক্ষতায় এবং প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অবশেষে তাঁরা উদ্ধার করেন প্রায় ১৩ ফুট লম্বা এই সাপটিকে। উদ্ধার হওয়া সাপটিকে পর্যবেক্ষণ করার পর বন দফতরের কর্মী ও সাপপ্রেমীরা সিদ্ধান্ত নেন, এটিকে পুনরায় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। সেইমতোই শুক্রবার রাতেই গভীর জঙ্গলে সাপটিকে ছেড়ে দেওয়াও হয়। উদ্ধারকারী সমাবেশ বিশ্বাস জানান, ‘আমরা যখন পৌঁছই, তখন সাপটা খুব রেগে ছিল। ও ওর মাথা এদিক-ওদিক ঝোঁকাচ্ছিল। গাছের ডালে প্যাঁচানো থাকায় সাপটিকে নামানো একটু ঝুঁকির ছিল। কিন্তু সাবধানে ধৈর্য ধরে শেষমেশ নামিয়ে ফেলি আমরা।’ সঙ্গী ফরিদুল হক বলেন, ‘লোকজন যাতে ক্ষতি না করে এবং সাপটা যাতে আঘাত না পায়, সেসব মাথায় রেখেই কাজ করি আমরা।’

এত বড় কিং কোবরা!

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ‘এত বড় কিং কোবরা এই এলাকায় আগে দেখা যায়নি।’ কেউ কেউ বলেন, ‘গাছের ওপরে যে ওরকম কিছু আছে, ভাবতেই পারিনি। ওটা যে সাপ, তা বুঝেই গা শিউরে উঠেছিল।’ তবে এই উদ্ধার অভিযানে সাহসিকতার জন্য ওই দুই তরুণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্থানীয় বাসিন্দারা। 

আরও পড়ুন: Baba Vanga’s Horrifying Predictions: বাবা ভাঙ্গার এখনও-পর্যন্ত-অজানা বীভৎস সব পূর্বাভাস! মারণ দুর্যোগ, দুরারোগ্য রোগ, মহাপ্লাবন! কী বাকি রইল?

বন দফতরের পরামর্শ 

বন দফতরের তরফ থেকেও তাঁদের ধন্যবাদ জানানো হয়। এদিকে বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ষার মরশুমে পাহাড় ও জঙ্গল থেকে সাপ লোকালয়ে চলে আসে খাদ্যের সন্ধানে বা আশ্রয়ের খোঁজে। তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *