‘বাঘ’, না, ‘বাঘরোল’? বাড়ির ভিতরে ঢুকে-পড়া মেছোবিড়ালকে দেখে ঘোর আতঙ্ক এলাকায়!। fishing cat in Howrah fishing cat in Bagnan fishing cat in Uluberia Rescued safely


শুভাশিস মণ্ডল: ফের ফিশিংক্যাট (fishing cat)! আবার সেই হাওড়া, সেই উলুবেড়িয়া (Uluberia)। মেছোবিড়াল দেখে গ্রামের লোকজন রীতিমতো ‘বাঘ-বাঘ’ (Tiger) করে সব দিকে ভুল বার্তা ছড়ায়।

আরও পড়ুন: Deadly Cloudburst and Flash Flood: ভয়াবহ! ভয়ংকর মেঘভাঙা বৃষ্টিতে আকস্মিক প্রাণঘাতী বন্যা! ধুয়ে গেল সমস্ত এলাকা, ভেসে গেল…

মেছোবিড়াল থেকে ইতিহাস

ভোররাতে পূর্ণবয়স্ক একটি মেছোবিড়াল উলুবেড়িয়া থানার অন্তর্গত পীরপুর মালিকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা উত্তম মালিকের বাড়ির বাথরুমে ঢুকে পড়ে। উত্তম মালিকের মেয়ে দুই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী ব্যক্তিকে খবরটি জানান। উত্তম মালিকের মেয়ে মানসী দোলুই। বাগনান কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী মানসী। তিনি তাঁদের বাড়িতে মেছোবিড়াল ঢুকে পড়ার খবর দেন বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামাণিক ও সুমন্ত দাসকে। সকাল-সকাল মেছোবিড়াল দেখে গ্রামের লোকজন রীতিমতো ‘বাঘ-বাঘ’ করে চিৎকার করেন। ভুল খবর ছড়ায়।

বনবিভাগ

তবে খবর পাওয়া মাত্র চিত্রক ও সুমন্ত ওই এলাকায় যান। মেছোবেড়ালটিকে দেখতে প্রায় ২০০-৩০০ জন মানুষ ভিড় করে থাকে। মেছোবিড়ালটি বেরোতেই পারছিল না। বন বিভাগে খবর দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পরে বন বিভাগের উদ্ধারকারী দল আসে। অনেক কষ্ট করে ভিড় সামলে মেছোবিড়ালটিকে উদ্ধার করা হয়। এলাকার কিছু সচেতন যুবক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন।

গ্রামেই থাক

গ্রামের বেশিরভাগ লোকজন প্রথমে চেয়েছিল বাঘরোলটি যাতে চিড়িয়াখানায় নিয়ে চলে যাওয়া হয়। তখন চিত্রক, সুমন্ত, মানসী ও গ্রামের কিছু যুবক পুরো গ্রামকে এই মেছোবিড়াল সম্বন্ধে দীর্ঘ বক্তব্য শোনান এবং পরিবেশে মেছোবিড়ালের কী গুরুত্ব– সেটা বোঝান। সবটা শোনার পরে ছাত্রছাত্রীরা মেছোবিড়ালটিকে গ্রামেই ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলতে থাকে। অবশেষে গ্রামের মানুষজনও রাজি হন। 

আরও পড়ুন: First Atomic Explosion: ভোরে অন্ধকারে মাটি থেকে উঠে এল ১০০ সূর্যের মতো উজ্জ্বল আগুনের বিশাল গোলা, প্রবল ঝাঁকুনি, বীভৎস শব্দ…

খড়িবনের ধারে

রেঞ্জ অফিসার রাজেশ মুখার্জীর তত্ত্বাবধানে স্থানীয় ব্লক পশু চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে একজন পশু চিকিৎসক আসেন এবং মেছোবিড়ালটিকে পর্যবেক্ষণ করে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে জানান। তারপর চিত্রক প্রামাণিক ও সুমন্ত দাস মানসীকে নিয়ে এবং গ্রামের কিছু ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গিয়ে পাশেই খড়িবনের কাছে খাঁচা খুলে মেছোবিড়ালটিকে পুনরায় পরিবেশে মুক্ত করে দেন। চিত্রক প্রামাণিক বলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রাণী মেছোবিড়ালকে উদ্ধারের পর পুনরায় তার পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হল। কোনো সুস্থ জীবজন্তু এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত নয়। বন্যপ্রাণীকে তার নিজের এলাকাতেই থাকতে দেওয়া প্রকৃত পরিবেশ সংরক্ষণ।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *