জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বর্ধমান সংশোধনাগারে আত্মঘাতী পকসো মামলার অভিযুক্ত শিক্ষক।
হত্যার অভিযোগ:
উঠছে হত্যার অভিযোগ।বর্ধমান সংশোধনাগারের ভিতরে শিক্ষকের গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। মৃত ব্যক্তি সুব্রত দত্ত (৩৩), পেশায় শিক্ষক, বাড়ি বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বর্ধমানের পারাপুকুর এলাকায় একটি কোচিং সেন্টারে টিউশন পড়াতেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে তাঁর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুব্রতকে গ্রেফতার করে এবং বর্ধমান সংশোধনাগারে ছিলেন। বুধবার সকালে হঠাৎ পরিবারের কাছে খবর যায়, সংশোধনাগারের বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সুব্রতবাবু।
গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ:
খবর পেয়ে সংশোধনাগারে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মৃতের মামা অভিজিৎ সাধু বলেন, ‘এই ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতর কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, সেটা প্রশ্নের। আমরা যেভাবে মৃতদেহ দেখেছি, তাতে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে না। তার গলায় দড়ি সামনের দিক থেকে কেটে ঢুকে গেছে, মুখে মোজা গোঁজা ছিল—এটা সন্দেহজনক। আমাদের বিশ্বাস, ওকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই নিয়ে অভিযোগ জানাব। তিনি আরও অভিযোগ করেন এ বিষয়ে পুলিস আমাকে কিছু বলতে বারণ করছে। ‘
পরিবারের আরও অভিযোগ, যেই ছাত্রীর পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছিল, সেটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আগস্ট মাসে মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল এবং তারা আশাবাদী ছিলেন সুব্রত মুক্তি পেয়ে যাবেন।
মৃতদেহের ময়নাতদন্ত:
ঘটনার পর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কীভাবে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা একজন বন্দি এমন ঘটনা ঘটাতে পারল। সুব্রতবাবুর বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনরা এই মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ এবং হতবাক। কেউ কেউ মনে করছেন, অভিযুক্ত শিক্ষক মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে পরিবারের একাংশ একে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বলেই দাবি করছেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)