জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের চর্চায় জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন বুধবার রাজ্যসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “আমি আপনাদের (সরকার) অভিনন্দন জানাই, এত দারুণ নামকরণ করার মতো লেখক নিযুক্ত করার জন্য। কিন্তু এই অপারেশনের নাম ‘সিঁদুর’ কেন? পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় যেসব নারীর স্বামী নিহত হয়েছেন, তাঁদের কপাল থেকে তো সিঁদুর মুছে গেছে।”
জয়া বচ্চন বলেন, “সরকার জনগণকে প্রতারিত করেছে। যদি তারা এত বড় বড় দাবি না করত, তাহলে পর্যটকরা সেখানে যেতেন না, আর তাদের প্রাণও যেত না। সরকারকে নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আশ্চর্যের বিষয়, হামলাকারীরা ধর্ম জিজ্ঞাসা করে মানুষের সামনে তাদের প্রিয়জনদের হত্যা করেছে। পহেলগাঁও হামলায় যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের স্ত্রীর সিঁদুর মুছে গেছে। সেই হামলার জবাবি অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ রাখা কি উপযুক্ত হয়েছে?”
তিনি আরও বলেন, “সরকার যদি ২৬ জন নিরীহ মানুষকে রক্ষা করতে না পারে, তাহলে অস্ত্র বানিয়ে কী লাভ? মানবিকতা থাকা উচিত। অস্ত্র দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। মানুষের মনে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনুন যে, সরকার তাদের রক্ষা করতে সক্ষম।”
বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা এই বক্তব্যের পাল্টা জবাবে বলেন, “সিঁদুর হল শক্তি ও সক্ষমতার প্রতীক। এখন পৃথ্বীরাজ চবন একা নন। ভাবুন, এটা কেমন মানসিকতা! একে তো ‘অপারেশন মহাদেব’-এর নাম নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সেটিকে সাম্প্রদায়িক বলে, আর এখন ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিরোধিতা করছেন। জয়া বচ্চনজি, জঙ্গিরা নারীদের কপালের সিঁদুর মুছে দিয়েছে। আর এই বার্তা দিতেই অপারেশনের নাম রাখা হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এটা দুঃখজনক।”
এর আগে কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছিলেন, “বিজেপি শুধুই ধর্মীয় প্রতীকের নামে অপারেশনের নামকরণ করতে জানে। তারা প্রতিটি বিষয়ে ধর্মীয় মৌলবাদ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তারা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু বনাম মুসলিম মেরুকরণ ঘটাতে চাইছে।” বিজেপি নেতা সি আর কেসবান পৃথ্বীরাজ চবনের মন্তব্যকে “গর্হিত এবং নিন্দনীয়” বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “পৃথ্বীরাজ চবনের মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলছেন ‘অপারেশন সিঁদুর’ ও ‘অপারেশন মহাদেব’ হল ধর্মীয় মৌলবাদের প্রতীক। তাহলে কি কংগ্রেসের কাছে পবিত্র সিঁদুর ও ভগবান মহাদেবও বিভাজনের প্রতীক? এটা চরম মানসিক দারিদ্র্য। আমাদের জাতীয় প্রতীকে খোদিত ‘সত্যমেব জয়তে’ উপনিষদ থেকে নেওয়া। নৌবাহিনীর মন্ত্র ‘শং নো বরুণঃ’ ঋক বেদ থেকে নেওয়া — এগুলো কি কংগ্রেসের মতে ধর্মীয় মৌলবাদের প্রতীক? পৃথ্বীরাজ চবনকে সশরীরে ক্ষমা চাওয়া উচিত আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও জাতির কাছে। না হলে ধরে নিতে হবে পুরো কংগ্রেস নেতৃত্বই তার বিভাজনমূলক মানসিকতায় সহমত পোষণ করে।”
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)