বিধান সরকার: হুগলির কোন্নগরের তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী খুনের পেছনে জমি কেনাবেচা নিয়ে গন্ডগোল। খুনিদের গ্রেফতার করে এমনটাই তথ্য উঠে আসছে। ৩ লাখ টাকা সুপারি দিয়ে খুন করানো হয় ওই তৃণমূল নেতাকে।
পুলিস সূত্রে খবর, খুনের জন্য উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও শাসনের ভাড়াটে খুনিদের কাজে লাগানো হয়েছিল। কানাইপুরের বাসিন্দা বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশা ৩ লাখ টাকা দিয়ে ভাড়া করে বিশ্বজিত্ প্রামাণিক ও বারাসতের দীপক মণ্ডলকে।
গত ৩০ জুলাই খুন হন ওই তৃণমূল নেতা। গ্যাসের অফিস থেকে বের হওয়ার পর তাকে ঘিরে ধরে কাটারি দিয়ে কোপানা হয়। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় পিন্টুর।
এদিকে, অপারেশনের আগেই ওই ২ ভাড়াটে খুনি বিশার বাড়িতে আসে। এলাকা রেইকি করে। পুলিসের দাবি, পিন্টু চক্রবর্তীকে খুনের পর খুনিরা কিছুটা রাস্তা হেঁটে যায়। তারপর সেখান থেকে স্কুটারে তাদের স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া হয়। পুলিস তদন্তে নেমে প্রথমেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে।
আরও পড়ুন-মোমিনা বিবির পর এবার দীপঙ্কর সরকার! ফের NRC চিঠি বাংলার বাসিন্দাকে…
আরও পড়ুন-ঘূর্ণাবর্ত আপাতত সরছে, দক্ষিণবঙ্গে ফের বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল হাওয়া অফিস
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে কাটারি দিয়ে কুপিয়ে তারা তৃণমূল নেতাকে খুন করেছে। খুনের পর তাদের পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি খুনের আগে এলাকা রেইকি করার সময় তারা ফোনে কথা বলছিল। সেই ফোনের লোকেশনও ট্র্যাক করা গিয়েছে।
ঘটনা নিয়ে শ্রীরামপুরের ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস বলেন, জমি বিবাদের জেরেই এই খুন বলে এখনওপর্যন্ত জানা যাচ্ছে। এর পেছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভাড়াটে খুনি দিয়েই খুন করা হয়েছে। এর পেছনে আর কেউ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)