ভবানন্দ সিংহ: হরিয়ানার পানিপথে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর একের পর এক বর্বরোচিত নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসছে। গোয়ালপোখরের জুনেদ ও কবিরের পর এবার ইসলামপুর ব্লকের বিজুভিটা গ্রামের সাব্বির আলম হরিয়ানা পুলিসের নির্মমতার শিকার। অভিযোগ, বাংলাদেশি তকমা দিয়ে তাঁকে আটক করে হাত বেঁধে বেধড়ক মারধর করে পুলিস, মুখে গরম জল ঢালে এবং তাঁর দু’টি পা ভেঙে দেয়।
তিন মাস আগে স্ত্রীকে নিয়ে পানিপথে একটি কার্পেট কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিলেন সাব্বির। ২৪ জুলাই, কারখানার থেকে তাঁকে ডেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিস বলে অভিযোগ।
সাব্বির বলেন, “আমাকে থানায় নিয়ে গিয়ে হাত বেঁধে উপুড় করে শুইয়ে দেয়। দু’জন পুলিস আমার ওপর উঠে পড়ে। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে। আমি যন্ত্রণায় চিৎকার করি, কিন্তু কেউ শোনে না। পরে অন্য থানায় নিয়ে গিয়ে মুখে গরম জল ঢালে। পা ভাঙা অবস্থাতেই ৩ দিন লকআপে আটকে রাখে। শুধু আমি নই আরো অন্যান্য শ্রমিকদেরও একই ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। ওরা শুধু আমার বাংলাদেশি হওয়ার স্বীকারোক্তি চাইছিল।”
আরও পড়ুন-কাদামাটির নীচে বহু হোটেল-হোম স্টে, নিখোঁজ জওয়ান-সহ ১০৯, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসস্তূপ উত্তরকাশী
পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তাঁর মায়ের নথিপত্র চাওয়া হয়। তা মোবাইলে পাঠানো হলেও পুলিস বাংলাদেশি বলে স্বীকার করতে চাপ দেয় বলে অভিযোগ। রাজি না হওয়ায় চলে এই ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতন। এরপর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভাঙা পা নিয়ে বাড়ি ফেরেন সাব্বির।
সাব্বিরের কাকা কইমুদ্দিন বলেন, “রাজ্য সরকার আমার ছেলের বিচার করুক। ওর বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, এক সন্তান—ওদের এখন কে রোজগার করে খাওয়াবে?”
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)