অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায়: বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। ‘অস্তিত্বহীন ভোটারে’র খোঁজ মিলল রাজ্য়ে। প্রশাসনের কাছেই ফেরত চলে এল দেড় লক্ষ ভোটার কার্ড! উদ্বেগে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর তেমনই।
পোশাকি না, is Electors Photo Identity Card বা EPIC। শুধু লিস্টে নাম থাকলেই হয় না, ভোট দিতে গেলে সচিত্র পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। কমিশন সূত্রে খবর, উত্তর চব্বিশ পরগনার রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা এলাকায় চারশোটি ছাপানো ভোটার কার্ডে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই ঠিকানার খোঁজ মেলেনি। ‘নো রিপ্লাই’ হয়ে কার্ডগুলি প্রশাসনের কাছে ফেরত চলে এসেছে। বস্তুত, বিলি না হওয়া এমন ভোটার কার্ডের সংখ্য়া দেড়লক্ষ। প্রতিটি ক্ষেত্রে যার নাম কার্ড বা আবেদনকারীর ঠিকানার খোঁজ মেলেনি।
এবার কী হবে? রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে খবর, আরও একবার ওই ঠিকানাগুলি কার্ড পাঠানো হবে। আগামী ২০ অগাস্টের মধ্যে ঠিকানা খোঁজ না মিললে, ভোটার কার্ডগুলি ফেরত চলে আসবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরেই।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘ভুয়ো ভোটার যত ওরা ঢুকিয়েছি, এইসব নাম এমনিই বাদ হয়ে যাবে। যাদের ঠিকানা নেই, ছবি নেই। নাম-পরিচয় ঠিক করে নেই। এইরকম অজস্র কার্ড বিভিন্ন জায়গাতে আছে। এখন এগুলি প্রযুক্তির কারণে ইলেকশন কমিশন ধরে ফেলছে। জাল ভোট যে এতদিন ধরে ওরা যে দিয়ে আসত, রামের নাম করে শ্যামকে ভোট দিত। সেই জিনিসটা এখন বন্ধ হয়ে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এত ভারসাম্যহীন ভূমিকা আমরা দেখছি। এই কারণে হচ্ছে, উনি জানেন কমিশন যদি ভোটার লিস্টে সংশোধনের কাজ শেষ করতে পারে, তাহলে তৃণমূলের সংশোধনও পূর্ণ হয়ে যাবে’।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)