Faissal Khan on Aamir Khan: ‘১ বছর বাড়িতে আটকে জোর করে ওষুধ খাওয়াত’! আমিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ভাই ফৈসলের…


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আমির খানের (Aamir Khan) হাত ধরেই বলিউডে পা রেখেছিলেন তাঁর ভাই ফৈসল খান (Faissal Khan)। তবে প্রথম ছবিই ধরাশায়ী হয়েছিল বক্স অফিসে। অভিনেতা হিসাবে মান্যতা না পাওয়া ফৈসল দ্রুতই সরে যান সিনেমা থেকে। সম্প্রতি তিনি এক ভয়ংকর অভিযোগ করেন তাঁর দাদা আমিরের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেন যে তাঁর নিজের পরিবারই তাঁকে নির্যাতন করেছে এবং এক বছরের জন্য তাঁকে আটকে রেখেছিল।

আরও পড়ুন- Kyunki Saas Bhi Kabhi Bahu Thi 2: ছোটপর্দায় নয়া ইতিহাস স্মৃতির! সর্বকালের সেরা TRP পেয়ে শীর্ষে তুলসীর ‘কিউঁ কি সাঁস ভি কভি বহু থি ২’…

ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ফৈসলের

এক সাক্ষাৎকারে ফৈসল তাঁর সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বলেন, “ওরা আমাকে আমিরের বাড়িতে এক বছর আটকে রেখেছিল এবং জোর করে ওষুধ দিত। তারা বলত আমার নাকি সিজোফ্রেনিয়া হয়েছে এবং আমি সমাজের জন্য বিপজ্জনক। এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল যেখানে আমাকে বোঝানো হচ্ছিল যে আমি প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছি। আমি শুধু ভাবতাম কীভাবে এই চক্র থেকে বেরোব। এটা একটা ‘চক্রব্যূহে’র মতো মনে হত এবং আমি ফাঁদে পড়েছিলাম কারণ আমার পুরো পরিবার আমার বিরুদ্ধে ছিল। তারা বিশ্বাস করত আমি মানসিকভাবে অসুস্থ, যার কারণ আমি আজও জানি না। তাই আমি তাদের থেকে দূরে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিই। ওরা আমাকে আটকে রেখেছিল এবং জোর করে ওষুধ খাওয়াত।”

ওষুধের কারণে বেড়ে যায় ১০৩ কেজি ওজন 

ফৈসল আরও জানান যে জোর করে দেওয়া ওষুধের কারণে তাঁর স্বাস্থ্যের ওপর কতটা খারাপ প্রভাব পড়েছিল, “সেই সময় আমি শুধু নিজের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম। আমি নিজেকে বারবার জিজ্ঞাসা করতাম, আমি কীভাবে সামনে এগিয়ে যাব? কীভাবে বাঁচব? আমাকে কে কাজ দেবে? এই ইন্ডাস্ট্রিতে একজন সাধারণ মানুষেরই কাজ পাওয়া কঠিন, সেখানে আমার মতো অবস্থায় থাকা একজনের জন্য তো আরও কঠিন। ওই ওষুধগুলো খেয়ে আমার ওজন বেড়ে গিয়েছিল, আমি ১০৩ কেজি হয়ে গিয়েছিলাম, কারণ সেগুলো অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর ছিল।”

আরও পড়ুন- Dev-Rituparna: আরেক ভাষা আন্দোলন! এবার সিনেমাহলেও সমান গুরুত্ব বাংলা ছবিকে…বড় আপডেট

আমির খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ফৈসলের

অভিনেতা আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে তাঁর দাদা, আমির খান, তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখেন। ফৈসলের দাবি, “আমি শুধু প্রার্থনা করতাম। মাঝে মাঝে ভাবতাম হয়তো আমার বাবা আমাকে সাহায্য করবেন। সেই সময় তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন এবং পরিবারের থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু আমি তাঁর কাছে পৌঁছতে পারিনি, আমার কাছে তাঁর নম্বরও ছিল না। সবাই ভাবছিল আমার কী হয়েছে। সত্যিটা হলো, আমাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। আমির আমাকে এক বছরের জন্য বাড়িতে আটকে রেখেছিল। ওরা আমার ফোন এবং সবকিছু নিয়ে নিয়েছিল। আমাকে বাইরে যেতে দেওয়া হত না। আমার ঘরের বাইরে একজন দেহরক্ষী রাখা হয়েছিল। আমার সমস্ত আর্থিক ও আইনি সিদ্ধান্ত আমির নিত। আমার মা এবং বোন আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল, বলেছিল যে আমি সমাজের জন্য বিপদজনক এবং প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছি। তখনই পুলিশ এই বিষয়ে জড়িয়ে পড়ে।”

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *