অয়ন ঘোষাল: উত্তরবঙ্গে শুক্রবার এবং কাল শনিবার বৃষ্টি কিছুটা কমবে। রবিবার ও সোমবার ফের ভারী বৃষ্টি ওপরের পাঁচ জেলায়। দক্ষিণবঙ্গে আজ বৃষ্টি কমবে। কাল শনিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও কমবে দক্ষিণবঙ্গে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। বৃষ্টি না হলে অস্বস্তি ভোগাবে। শনি থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা দিন ও রাতের পারদ চড়বে। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ওড়িশার দক্ষিণ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূলের কাছে।
আরও পড়ুন, Student Death: ফের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু, মাঝ রাতে ছাদেই…নলি আর শিরা…
পশ্চিমবঙ্গ থেকে তা বহু দূরে। ফলে মৎস্যজীবীদের জন্য বাংলা উপকূলে কোনও সতর্কবার্তা নেই। ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে আজ ১৫ আগস্ট শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত। তবে বাংলায় এর আর কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব নেই। উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে জন্মাষ্টমীর বিকেলে।
বঙ্গোপসাগরের এই নিম্নচাপ থেকে উত্তর প্রদেশের ঘূর্ণাবর্ত পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত। এই অক্ষরেখার ছত্রিশগড়ের উপর দিয়ে রয়েছে। এর জেরে পশ্চিমবঙ্গে অস্বাভাবিক জলীয় বাষ্প ঢুকবে। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মঙ্গলবার পর্যন্ত চূড়ান্ত ঘর্মাক্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির শিকার হবে দক্ষিণবঙ্গ। শুক্রবার উপকূল ও পশ্চিমের জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি দক্ষিণবঙ্গ কার্যত ড্রাই।
শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা আরো কমে আসবে দক্ষিণবঙ্গে। হাতে গোনা দুই একটি জেলায় খুব হালকা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার ও সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমবে। দক্ষিণবঙ্গের দুয়েক জেলার কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যু- সহ বৃষ্টি। আংশিক মেঘলা আকাশ এবং অস্বস্তি বাড়বে। উত্তরে শুক্রবার ও শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটা কমবে। তবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি দু-এক জায়গায় হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে ওপরের পাঁচ জেলায়।
রবিবার ও সোমবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলাতে। মঙ্গলবারেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলাতে। দার্জিলিং, কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা। সিকিমেও ধসের আশঙ্কা। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা। বিভিন্ন রোডে আন্ডারপাস এবং নীচু এলাকার নদী সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। ভারী বৃষ্টির কারণে নদীর জল স্তর বাড়বে। তিস্তা তোর্সা জলঢাকা নদীতে জলস্তর বাড়বে। ভারী বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা কমবে। দার্জিলিং ও পাহাড়ের বিশেষ করে পাহাড়ি রাস্তায় ভারী বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটা কমবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)