ধোনির জন্যই ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন! বীরুর পর বিস্ফোরক ভারতের বিশ্বকাপ হিরোও


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় ক্রিকেটে ইরফান পাঠানের (Irfan Pathan) উত্থান ছিল কড়া রোদের সঙ্গেই টাটকা বাতাস। বরোদার ৬ ফুটের বাসিন্দা বাঁ-হাতে জোরে বল করতেন, রাখতেন সুইং করানোর দুর্দান্ত ক্ষমতা। কার্যকর ব্যাটার হিসেবেও খেলার রং বদলে দিতেন পাঠান। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পারফরম্যান্স কেউ ভুলতে পারবে না। ১৬ রানে তিন উইকেট নিয়ে এমএস ধোনির (MS Dhoni) ভারতকে জিতিয়ে ছিলেন আইসিসি-র কুড়ি ওভারের সংস্করণের অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ। আর এবার পাঠানই তোপ দাগলেন তাঁর প্রাক্তন নেতার বিরুদ্ধে। সাফ বললেন, ধোনির জন্যই ভারতীয় দল থেকে তিনি বাদ পড়েছিলেন! পাঠানের আগে ঠিক একই মর্মে বীরেন্দ্র শেহওয়াগও (Virender Sehwag) ধোনির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন। 

আরও পড়ুন: ‘ও কুকুরের মাংস খেয়ে এসেছে’! বিস্ফোরক পাঠান, টেনে খুললেন বিখ্যাত ক্রিকেটাররে মুখোশ…

শেহওয়াগ-ধোনি

ভয়ডরহীন আগ্রাসী ক্রিকেটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন বীরু। নজফগড়ের নবাব ভারতের একাধিক আইসিসি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, ‘২০০৭-০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে ছিল। আমি প্রথম তিন ম্যাচ খেলেছিলাম এবং তারপর এমএস ধোনি আমাকে দল থেকে বাদ দিয়েছিল। এরপর কিছুদিন আমাকে দলে নেওয়া হয়নি। তখন আমার মনে হয়েছিল যে, যদি প্রথম একাদশের অংশ না হতে পারি, তাহলে ওডিআই খেলার কোনও মানে নেই। আমি তখন সচিন তেন্ডুলকরের কাছে গিয়ে বলেছিলাম যে, আমি ওডিআই থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবছি। সচিন শুনেই বলেছিল, একদম না। তখন সচিন বলেছিল, আমি ১৯৯৯-২০০০ সালেও তোমার মতো একই রকম একটা সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম। যখন আমার মনে হয়েছিল যে, আমার ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু সেই পর্যায় এসেছিল এবং চলেও গিয়েছিল। তুমি একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছ, কিন্তু তা কেটে যাবে। আবেগপ্রবণ হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিও না। নিজেকে সময় দাও এবং এক-দু’টি সিরিজ দেখে সিদ্ধান্ত নিও।’ শেহওয়াগ ২৫১টি ওডিআই খেলে ৩৫.০৫ গড়ে ৮২৭৩ রান করেছেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৪.৩৩। ১৫টি সেঞ্চুরি এবং ৩৮টি অর্ধ-শতক রয়েছে তাঁর।

আরও পড়ুন: ‘না…না…আমি কিছুতেই…’! বিশ্বজয়ী ভারতীয়র সাহচর্যেই চরম অস্বস্তিতে সতীর্থের কন্যা

পাঠান-ধোনি

পাঠান এক সর্বভারতীয় মিডিয়ার শোয়ে এসেছিলেন অতিথি হয়ে। আর সেখানেই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন। পাঠান বলেন, ‘আমার ভাই ইউসুফ আর আমি শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ জিতিয়ে ছিলাম। সেই ম্যাচে শেষ ২৭-২৮ বলে ৬০ রানের প্রয়োজন ছিল এবং সেখান থেকে আমরা ম্যাচ বার করে আমি। অন্য কোনও খেলোয়াড় যদি এটা করত, তাহলে সে এক বছর দলের বাইরে থাকত না। আমার বাদ পড়ার কারণ হিসেবে কোচ গ্যারির কার্স্টেন দু’টি কথা বলেছিল। সে বলেছিল, ইরফান জানবে, কিছু বিষয়ে আমার কোনও হাতে নেই। তখন আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম এটা কার হাতে? কিন্তু ও উত্তর দেয়নি। আসলে গ্যারির কথাগুলোই ঠিক ছিল। কারণ আমি ইতিমধ্যেই জানতাম এটা কার হাতে ছিল। একাদশ নির্ধারণ করা হয় অধিনায়কের পছন্দের উপর। সিদ্ধান্ত নির্ভর করে অধিনায়ক কোচ এবং ম্যানেজমেন্টের উপর। ধোনি তখন আমাদের অধিনায়ক ছিলেন। ওর  সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না ভুল ছিল, তা নিয়ে আলোচনা করব না! কারণ প্রতিটি অধিনায়কের নিজের মতো করে দল পরিচালনার অধিকার রয়েছে।’ প্রায় ১০ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে পাঠান ২৯টি টেস্ট, ১২০টি ওডিআই এবং ২৪টি টি-টোয়েন্ট খেলেছেন। 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *