Sohini Ganguly: বিপদ জেনেও সোহিনীকে ফেলে ক্লাস করাতে চলে যান ডাক্তার! সেদিন সকাল থেকে কী কী ঘটেছিল?


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ২২ অগাস্ট জন্মানোর আগেই গর্ভেই মারা যায় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার সোহিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sohini Ganguly)সন্তান। কার কারণে এত বড় ক্ষতি? তা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। সোহিনীর গর্ভস্থ সন্তান মারা গিয়েছে, তা প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন সোহিনীরই এক আত্মীয়, যিনি অভিযোগ তোলেন যে চিকিত্‍সকের দোষেই এই দুর্ঘটনা। এরপর চিকিত্‍সকও দাবি করেন যে দোষ তাঁর নয়। অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুললেন সোহিনী ও তাঁর স্বামী। 

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন- Rudranil Ghosh on Anirban Bhattacharya: ‘গান গেয়ে পেটের ভাত জোগাড় করছেন অনির্বাণ’, রুদ্র-রোষে হুলিগানইজ়ম…

ডাক্তারের দাবি ছিল, সোহিনীর গর্ভাবস্থা খুব গুরুতর ছিল, এমনকী শারীরিক নানা সমস্যাও ছিল। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ১ ঘণ্টার একটি লম্বা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সোহিনী। পাশাপাশি একাধিক প্রেসক্রিপশনও পোস্ট করেন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঠা যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিলেন সোহিনী। ২২ তারিখ সকাল থেকে তাঁদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে? বিস্তারিত জানালেন সোহিনী। 

সোহিনী জানান, ২২ তারিখ সকালে তিনি বুঝতে পারেন যে, গর্ভের শিশু নড়াচড়া করছে না। তখনই তাঁরা চিকিৎসককে ফোন করেন, চিকিৎসক তাঁদের চেক আপের জন্য আসতে বলেন। সোহিনী ও তাঁর স্বামী সেখানে পৌঁছলে তাঁদের একটি ইউএসজি করতে বলা হয়। জানা যায়, শিশুর গলায় কর্ড বা নাড়ি জড়িয়ে রয়েছে। সোহিনী ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, শিশুর অবস্থা বিপজ্জনক বুঝেও, কেবলমাত্র অন্য জায়গায় ক্লাস করাতে যাবেন বলে তখনই অস্ত্রোপচার করেননি চিকিৎসক। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, এখনই অস্ত্রোপচার করে শিশুকে বের করে নিলে বিপদ হতে পারে। সেই কারণে সোহিনীকে একদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দিয়ে ক্লাস করাতে বেরিয়ে যান ওই চিকিৎসক। 

 

যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সোহিনী, সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধেও ওঠে অভিযোগ। তাঁদের দাবি হাসপাতালে দেওয়া হয়নি অক্সিজেন। বেলা ১২টার পরে আর গর্ভে সন্তানের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। সোহিনীর পরিবারের তরফ থেকে বারবার যোগাযোগ করা হলেও সোহিনীকে দেখতে হাসপাতালে পর্যন্ত আসতে চাননি চিকিৎসক। দুপুর ২টো নাগাদ চিকিৎসক ক্লাস করিয়ে ফিরে পরীক্ষা করে বলেন যে, শিশু গর্ভেই মারা গিয়েছে, আর কিছু করার নেই। 

আরও পড়ুন- Kunal Ghosh on Anirban Bhattacharya: অনির্বাণের ‘তির্যক’ হুলিগানইজ়মে তিনিও চরিত্র! রেগে না গিয়ে কুণাল বললেন, ‘মজা লেগেছে, ভালো লেগেছে’…

কিছুদিন আগেই চিকিৎসক অভিযোগ করেছিলেন, সোহিনীর নাকি হাই ব্লাড প্রেশার ছিল। এদিন যাবতীয় প্রেসক্রিপশন পোস্ট করেন সোহিনী। তিনি জানান, কোনোদিনই উচ্চ রক্তচাপ ছিল না তাঁর। এমনকী তাঁর প্রেগনেন্সিতে কোনও রিস্ক আছে বলেও লেখেননি চিকিৎসক। তাহলে গাফিলতি কার? এদিনের ভিডিয়োতে কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন সোহিনী। তিনি জানান যে এখনও তাঁর সেলাই শুকোয়নি, বুকের দুধ শুকায়নি, কিন্তু কোলে সন্তান নেই। এই ক্ষতি তিনি মেনে নিতে পারছেন না। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সদা হাসি মুখে থাকা এই ইনফ্লুয়েন্সার। 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *