জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরের (Sunjay Kapur) বিশাল সম্পত্তি নিয়ে আইনি লড়াই তুঙ্গে। বুধবার এই মামলায় এল নতুন মোড়। এই মামলায় দিল্লির হাইকোর্ট (Delhi High Court) সঞ্জয়ের স্ত্রী প্রিয়া সচদেব কাপুরকে (Priya Sachdev Kapur) তাঁর প্রয়াত স্বামীর সমস্ত অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তির একটি বিস্তারিত তালিকা জমা দিতে বলেছেন। করিশ্মা কাপুরের (Karisma Kapoor) সন্তানেরা সঞ্জয় কাপুরের সম্পত্তির ভাগ চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
শুনানির সময় প্রিয়া কাপুরের আইনজীবী জানান যে, মামলা দায়ের করার মাত্র ছয় দিন আগে করিশ্মা কাপুরের সন্তানদের কাছে ১,৯০০ কোটি টাকার সম্পত্তি হস্তান্তর করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, সন্তানদের আইনজীবী বলেন যে তাঁদের জানানো হয়েছিল তাঁরা এই উইল-এর অংশ নন। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে উইলটি একটি সিল করা খামে আদালতে পেশ করতে হবে, যাতে আদালত এর বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করার সময় এর গোপনীয়তা বজায় থাকে।
আদালত একটি ‘কনফিডেনশিয়ালিটি ক্লাব’ গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষ উইলটি পরীক্ষা করার জন্য আইনজীবী মনোনীত করতে পারে। আদালত বলেছে, “আমি বুঝতে পারছি না কেন আপনারা উইলটির একটি অনুলিপি সন্তানদের দেবেন না। একটি গোপনীয়তা চুক্তি স্বাক্ষর করা যেতে পারে।” এর মাধ্যমে যাবতীয় বিবরণ জনসাধারণের কাছে প্রকাশ না করেই মামলাটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
পরিবারের আরেক সদস্য রানি কাপুর প্রিয়া কাপুরের বিরুদ্ধে পুরো সম্পত্তি নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগ আনলে এই বিবাদ আরও তীব্র হয়। রানি কাপুরের আইনজীবী আদালতে বলেন, “আমার সম্পত্তি, আমার এস্টেট—আজ আমার কিছুই নেই। একবারও কোনো নথি আমার সঙ্গে ভাগ করা হয়নি। আমার ১০,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়ার কথা ছিল। আমি আর কতদিন বাঁচব জানি না, তবে আমি আমার নাতি-নাতনিদের নিয়ে চিন্তিত। সবকিছু প্রিয়া কাপুরকে দেওয়া হচ্ছে।”
প্রিয়ার আইনজীবী বলেন, “একের পর এক মামলা চলেছে, যা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছে। আমি তাঁর বিধবা স্ত্রী। আদালত রাস্তার একজন সাধারণ মানুষের মামলা বিবেচনা করছেন না। তাঁরা ১,৯০০ কোটি টাকা পেয়েছেন।” দিল্লির হাইকোর্ট এই বিষয়টিকে কঠোরভাবে দেখছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, অভিযোগকারীদের অভিযোগ একটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হোক। উভয় পক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দিতে হবে।
এছাড়াও, আদালত প্রিয়া কাপুরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সঞ্জয় কাপুরের সমস্ত অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তির একটি সম্পূর্ণ তালিকা দিতে বলেছে। এরপর আদালত সেই তালিকা পর্যালোচনা করবে এবং সম্পত্তিতে কোনো ধরনের হস্তান্তর বা নিষ্পত্তি রোধ করার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে কিনা তা বিবেচনা করবে। পরবর্তী শুনানি তিন সপ্তাহ পরে নির্ধারিত হয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষের জমা দেওয়া যুক্তি ও নথির ভিত্তিতে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন ত্রাণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
