অরূপ লাহা: দীর্ঘ উৎকন্ঠার পর আশার আলো। নেপালে চোখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়েন বর্ধমানের দুই বাসিন্দা। অবশেষে তারা বাড়ি ফিরছেন ভারতীয় সেনা ও দার্জিলিং পুলিস এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তৎপরতায়। গত ৮ সেপ্টেম্বর মেয়ে কবিতা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে নেপালে চোখের চিকিৎসা করাতে যান বর্ধমানের সরাইটিকর গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ আরজাদ হোসেন।
আরও পড়ুন, SIR In Bengal: SIR আবহে নয়া বিতর্ক, জীবিতকে থেকে মৃত দেখিয়ে…. অবিশ্বাস্য…
তিনি ৯ সেপ্টেম্বর ডাক্তার দেখান। এরপর নেপালের পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠলে মেয়েকে নিয়ে তিনি কার্যত হোটেলবন্দি হয়ে পরেন। উৎকন্ঠা বাড়ে বর্ধমানের বাড়িতেও। পরিস্থিতি চরম উত্তাল হয়ে উঠলে সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুষ্ঠভাবে দেশে যাতে তিনি ফিরতে পারেন তার জন্য আবেদন জানান সৈয়দ আরজাদ হোসেন।
এগিয়ে আসে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের তরফে যোগাযোগ করা হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে। বৃহস্পতিবার সকালেই ভারতীয় সেনার তৎপরতায় বিহার-নেপাল সীমান্তের যোগবানী বর্ডার দিয়ে মেয়েকে নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন আরজাদ হোসেন। স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়। তারা এখন প্রতীক্ষায়। অন্যদিকে, নেপালে আটকে পড়েছেন বঙ্গতনয়া বিনিতা মান্না। খড়গপুরে বিনিতা বিরাটনগর মেডিক্যাল কলেজের MBBS দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁর দাবি, ক্যাম্পাসে আটকে রয়েছেন প্রায় ১০০ জন ভারতীয় পড়ুয়া। দ্রুত দেশে ফিরতে ভারতীয় দূতাবাসের সহযোগিতা চান নেপালের আটকে পড়া কলেজ ছাত্রীরা।
আবার নেপালে নিজের নিজের কর্মস্থলেই আটকে রয়েছেন বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ ব্লকের লালবাজার গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিযায়ী শ্রমিক। নেপালে লাগাতার অশান্তিতে ওই ৩০০ পরিযায়ী শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে শ্রমিক পরিবারগুলিতে।অশান্তির জেরে নেপালের কাঁসার বাসন তৈরির কারখানাগুলিতে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। কারখানা লাগোয়া আবাসগুলিতেই অন্যান্য পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশাপাশি আটকে পড়েন লালবাজার গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিযায়ী শ্রমিক।
আরও পড়ুন, SIR Breaking: শুধু আধার থাকলেই আপনি বাংলার ভোটার নন! বাংলায় SIR নিয়ে বড় আপডেট…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)