নবনীতা সরকার: থিয়েটারের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পথ চলা শুরু হয় অভিনেত্রী রায়তী ভট্টাচার্যের। সমাজমাধ্যমের পাতায় বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করায়, নেটিজেনদের কাছে তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপর শুরু হয় তাঁর বাংলা ছবির জগতে পথ চলা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, গার্গী রায়চৌধুরী, বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর অভিনীত ‘শেষপাতা’ দর্শক মহলে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল। ছবিতে রায়তীকে অন্যভাবে চিনেছিলেন দর্শক। এরপর একে একে ছবি ও সিরিজের মাধ্যমে বিনোদন জগতে তাঁর এগিয়ে চলা।
পারিবারিক ঐতিহ্য মেনে রায়তীও ডাক্তারি পড়া শেষ করে প্র্যাকটিস করছিলেন। কিন্তু মনের মধ্যে কোথাও একটা অভিনয় করার সুপ্ত বাসনা ছিল। সেই সুপ্ত বাসনা বিকশিত হল কীভাবে? রায়তী বলছেন, “আমি গান গাইতাম। ছবি আঁকতাম। বিয়ে হওয়ার পরে, নতুন জায়গায় এসে নতুন করে চেম্বার শুরু করা হয়নি। তখন আমি সাংসারিক কাজকর্মই করতাম। একটা সময় আমারও খুব একঘেয়ে লাগছিল।”
সেই সময় এক বন্ধুর ডাকে রায়তী একটি নাটকের দলে গিয়ে কথা বলেন। সেই সময়ে অসিত বসু ‘মালাচন্দন’ বলে একটি নাটক করছিলেন। রায়তী গান গাইতে পারেন দেখে সেই নাটকের মুখ্য চরিত্রে রায়তীকেই পছন্দ করেন অসিত বসু। আজ থেকে ছয় বছর আগে এভাবেই অভিনয় জগতে প্রবেশ। এরপর ‘অ্যান্টনি সৌদামিনী’তে সৌমিত্র মিত্রর সঙ্গে কাজ করেছে। তার পর মিনার্ভা রেপার্টরি।
তারপর বেশকিছু ছবি, ওয়েব সিরিজে কাজ। টালিগঞ্জে এখন বেশ নাম-ডাক। সমাজ মাধ্যমে তিনি খুবই জনপ্রিয়। সুকন্ঠী রায়তী প্রায়ই ভাগ করে নেন তাঁর গাওয়া গান, কখনও নাচ আবার কখনও অভিনয়ের টুকরো অংশ।
আর এবার মুম্বইয়ের এক প্রযোজনা সংস্থার কাছ থেকে বিস্ফোরক নোংরা মেসেজ পেয়ে তিনি নিজেই বিস্মিত। ভাগ করে নিয়েছেন সেই মেসেজের স্ক্রিনশটও, যেখানে তাঁকে বলা হয়েছে, ‘খোলামেলা ড্রেসে সেক্সি পোজে প্রডিউসারকে ভিডিয়ো কলে শরীর দেখান! তাহলেই হাতে গরম পঞ্চাশ লাখ পাবেন… আর তারপরই অভিনয়ের সুযোগ মুম্বইয়ের ওই নামজাদা প্রযোজনা সংস্থার অধীনে। তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লিখেছেন-
‘আমাকেই ক্যারাপোকায় কামড়েছিল। বারো বছর থিয়েটারে ঘষ্টে, নিজের স্কিল বাড়ানোর চেষ্টা করে, কাজ চেয়ে চেয়ে হতাশ হয়ে, রোজ ছবি পোস্ট করছি। আর সবাই বলছে খুব ভালো, কিন্তু কাজের বেলায়.. এদিকে ব্যাঙ্কের সুদ কমছে, জিনিসের দাম বাড়ছে, মটন আর পেট্রোল তো বাদই দিলাম। ওদিকে ঘরে বসে একটু লুজ জামা পরে, হেসে হেসে ফান-চ্যাট করে, একটু শরীর দেখিয়ে হিরোইন হয়ে name fame সব হয়ে যেত। সঙ্গে লাখ লাখ টাকা। কী করলাম জীবনে! আজ সকালে ইনস্টায় এই মেসেজটা দেখার পর থেকে বাংলার কমিউনিস্টদের মতো ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছি। এত মনখারাপে একটাই শান্ত্বনা – ওরা আমায় গার্ল বলেছে, লেডি বলেনি। নাঃ! জীবনে এত অল্পে আহ্লাদিত হওয়াটাই আমায় বড়লোক হতে দিল না…’
সঙ্গে সেই বিস্ফারক মেসেজের ছবিও-
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)