জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ তৃতীয়া। নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পূজিত হন দেবী চন্দ্রঘণ্টা। তাঁর কপালে অর্ধচন্দ্রাকৃত ঘণ্টা ধারণ করার কারণে ‘চন্দ্রঘণ্টা’ নামটির উৎপত্তি হয়।
পুরাণ মতে, জোটুকাসুরকে বধ করতে পর্বতকন্যা পার্বতী যখন মহাশক্তির রূপ নেন, তখনই তাঁর চন্দ্রঘণ্টা রূপ প্রকাশ পায়। তিনি ভয়ংকর যোদ্ধারূপে অসুর দমন করেন, আবার ভক্তদের শান্তি ও সুরক্ষার আশ্বাসও দেন। দেবী চন্দ্রঘণ্টা ন্যায় প্রতিষ্ঠা, অশুভ শক্তি দমন এবং সাহস প্রদানের জন্য পূজিতা হন। তাই তাঁকে শক্তি, সাহস এবং ন্যায়বিচারের প্রতীক বলা হয়।
আরও পড়ুন: পুজোয় মাতুন ফিটনেসের ছন্দে! রইল তারই কিছু টিপস…
দেবী চন্দ্রঘণ্টার দশটি হাত, প্রতিটি হাতে ভিন্ন ভিন্ন অস্ত্র—ত্রিশূল, গদা, খড়্গ, শঙ্খ, চক্র, ধনুক, পদ্ম ইত্যাদি। তাঁর বাহন সিংহ, যা সাহস ও শক্তির প্রতীক। তাঁর কপালে অর্ধচন্দ্রাকৃত ঘণ্টা রয়েছে যা কল্যাণ ও বিজয়ের প্রতীক। চন্দ্রঘণ্টার রূপ একই সঙ্গে ভয়ঙ্কর ও স্নেহময়ী।
এই দেবীর প্রভাব উত্তর ভারতের নানা প্রান্তে বিশেষভাবে অনুভূত হয়। বারাণসী, উত্তরপ্রদেশে তাঁর মন্দির অবস্থিত, যেখানে নবরাত্রীর তৃতীয় দিনে বিশেষ পুজো হয়ে থাকে। ভক্তরা দেবীর সামনে পুষ্পাঞ্জলি দেন, দুধ, মধু, সাদা ফুল, চন্দন ইত্যাদি নিবেদন করেন।
মা চন্দ্রঘণ্টার কৃপায় ভক্তরা মানসিক শান্তি ও আত্মবিশ্বাস পান। শত্রু বা বাধা দূর হয়, জীবনে আসে স্থিতিশীলতা। দাম্পত্য জীবনে মধুরতা আসে, পারিবারিক কলহ দূর হয়। যারা জীবনে অযথা চিন্তা, আতঙ্ক বা মানসিক দ্বন্দ্বে ভোগেন, আজকের দিনে এই দেবীর আরাধনা বিশেষভাবে ফলদায়ক।
আরও পড়ুন: পুজোয় সোনা কিনবেন ভাবছেন! জেনে নিন আজকের দর
মা চন্দ্রঘণ্টা ধ্যান মন্ত্র:
পিণ্ডজ প্রবরারূঢ়া চণ্ডকোপাস্ত্র কের্যুতা।
প্রসাদং তনুতে মহ্যং চন্দ্রঘণ্টেতি বিশ্রুতা॥
অর্থ:
যিনি সিংহের পিঠে আরোহণ করে আছেন, যাঁর হাতে নানারকম অস্ত্র শোভা পাচ্ছে, আর যাঁর রুদ্র রূপ শত্রুদের বিনাশ করে, তিনিই পরিচিত মা চন্দ্রঘণ্টা নামে। মা তুমি ভক্তদের প্রতি প্রসন্ন হয়ে শান্তি, সাহস ও কল্যাণ প্রদান করো।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)