জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ চতুর্থী। নবরাত্রীর এই চতুর্থ দিনে মা দুর্গা, কুষ্মাণ্ডা রূপে পূজিতা হন। কু মানে ক্ষুদ্র, উষ্মা মানে তাপ বা শক্তি এবং আণ্ড মানে ব্রহ্মাণ্ড। অর্থাৎ ক্ষুদ্র অথচ দীপ্তিশীল হাসি দিয়ে যিনি সৃষ্টি করেছিলেন সমগ্র বিশ্বজগৎ, তিনিই দেবী কুষ্মাণ্ডা।
পুরাণ মতে, একসময় চারিদিকে শুধুই অন্ধকার ছিল। সৃষ্টির কোনো চিহ্ন ছিল না। তখন দেবী দুর্গা তাঁর অন্তর্লীন শক্তি থেকে কুষ্মাণ্ডা রূপ ধারণ করেন। তাঁর হাসির দীপ্তিতে অন্ধকার ভেদ করে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই আলো থেকেই জন্ম নেয় প্রাণ, বৃক্ষ, নক্ষত্র, আকাশ, পৃথিবী এবং সবকিছু। তাই তাঁকে আদিশক্তি, আদ্যাশক্তি ও ব্রহ্মাণ্ডজননী বলেও জানা যায়।
শাস্ত্রে দেবী কুষ্মাণ্ডাকে আট হাতে অষ্টভুজা রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর হাতে থাকে কমল, চক্র, গদা, ধনুক-বাণ, অমৃতপূর্ণ কলস, রক্তকমণ্ডলু ও জপমালা। তাঁর বাহন সিংহ। তিনি সূর্যের মতো উজ্জ্বল। তাঁর রূপ শুধু ভয়ের প্রতীক নয়, বরং শক্তি, জ্ঞান ও আনন্দের প্রতীকও বটে।
দেবী কুষ্মাণ্ডার উল্লেখযোগ্য মন্দির উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর নিকটে অবস্থিত। এছাড়া মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে তাঁর আরাধনা বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
নবরাত্রির আচার অনুযায়ী চতুর্থীতে এই দেবীর পুজো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মা কুষ্মাণ্ডার উপাসনা কেবল ধর্মীয় আচার নয়, এটি এক মানবিক শিক্ষা। আজকের দিনে এই দেবীর উপাসনা করলে ভক্তদের জীবন থেকে দুঃখ, হতাশা ও অন্ধকার দূর হবে। দেবীর কৃপায় মুক্তি বা নতুন সৃষ্টির দ্বার খুলে যাবে। দেবীর আশীর্বাদ থাকলে প্রত্যেক মানুষ নিজের জীবনের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
আরও পড়ুন: পুজোর সপ্তাহে দ্বিতীয়বার কমল হলুদ ধাতুর দাম! লক্ষ্মীবারে একধাক্কায় কতটা সস্তা সোনা?
মা কুষ্মাণ্ডার ধ্যান মন্ত্র:
ওম হ্রীম কুষ্মাণ্ডায় জগৎ প্রসূতে নমঃ ।।
অর্থ :
হে দেবী কুষ্মাণ্ডা, আমার চারপাশের সবকিছু এবং আমি যা দেখি তার সকলের প্রতি ভালোবাসা আনতে আমাকে আশীর্বাদ করুন। এই শব্দগুলির মাধ্যমে, আমি আপনার আশীর্বাদ প্রার্থনা করি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)