জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতিটি দিনেই পূজিতা হন দেবীর একেকটি বিশেষ রূপ। নবরাত্রির এই পঞ্চম দিনে পূজিতা হন মা স্কন্দমাতা। আজকের দিনে বাঙালি ভক্তদের কাছে দেবীর মাতৃস্নেহ ও সুরক্ষার বার্তাই মুখ্য।
স্কন্দ মানে কার্তিকেয় বা কুমার, এবং মাতৃ রূপে তিনি হলেন স্কন্দমাতা। তাই তাঁকে মাতৃত্ব ও শক্তির প্রতীক বলা হয়। পুরাণ মতে, দেবী দুর্গা যখন দানব তারকাসুর বধের জন্য কার্তিকেয়কে জন্ম দেন, তখন তাঁর স্কন্দমাতা রূপের আবির্ভাব হয়।
আরও পড়ুন: মিষ্টি কিন্তু স্বাস্থ্যকর! পুজোয় পেট ভরে খান নাড়ু থেকে মালপোয়া, কীভাবে?
মা স্কন্দমাতা ভক্তদের কাছে মাতৃস্নেহ, নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দেবী। বিশ্বাস করা হয়, তিনি সন্তানদের রক্ষা করেন, সংসারে শান্তি আনেন এবং ভক্তকে শক্তি ও সমৃদ্ধি প্রদান করেন। যাঁরা সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন, তাঁদের কাছে আজকের দিনের পুজো বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। স্কন্দমাতার পূজায় সাদা ফুল, বিশেষত পদ্মফুল অর্পণ করা শুভ। ভক্তরা ফল, মিষ্টি ও দুধ নিবেদন করেন। বলা হয়, সাদা রঙের পোশাক পরে এবং শান্ত মনে পূজা করলে দেবী বিশেষভাবে সন্তুষ্ট হন।
আরও পড়ুন: কলকাতার সেরা সেরা খাবার ট্রাই করুন এই পুজোয়…
উত্তর ভারতে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে মা স্কন্দমাতার পূজা ব্যাপকভাবে পালিত হয়। হিমাচল প্রদেশের নন্দিকেশ্বরী মন্দিরে মা স্কন্দমাতা বিশেষভাবে পূজিতা হন। এখানে ভক্তরা পদ্মফুল ও দুধের প্রসাদ নিবেদন করেন। প্রচলিত আছে, এদিন মন্দিরে যারা পূজা করেন তাঁদের সন্তান সুখ ও পরিবারের মঙ্গল নিশ্চিত হয়।
মা স্কন্দমাতা ধ্যান মন্ত্র
সিংহাসনগতা নিত্যং পদ্মাশ্রিতকরদ্বয়া।
শুভদাস্তু সদা দেবী স্কন্দমাতা যশস্বিনী॥
আরও পড়ুন: ধুপকাঠির ধোঁয়ায় শান্তি নয়, ফুসফুসে জমছে বিষ! সিগারেটের থেকেও মারাত্মক: রিপোর্ট
অর্থ
যিনি সর্বদা সিংহাসনে আসেন,
যাঁর দুই হাতে শোভা পায় পদ্মফুল,
যিনি শুভদান করেন,
সেই যশস্বিনী মা স্কন্দমাতা সর্বদা আমাদের কল্যাণ করুন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)