জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ ষষ্ঠী। আজকের দিনেই হয় দেবী দুর্গার বোধন। তবে নবরাত্রির ধারায় এই দিনে দেবীর ষষ্ঠ রূপ, মা কাত্যায়নীর পুজো হয়।
পুরাণ মতে, মহর্ষি কাত্যায়নের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। তাই তাঁর নাম কাত্যায়নী। তিনি অশুরনাশিনী, বিশেষত মহিষাসুর বধের শক্তির প্রতীক।
আরও পড়ুন: মিষ্টি কিন্তু স্বাস্থ্যকর! পুজোয় পেট ভরে খান নাড়ু থেকে মালপোয়া, কীভাবে?
কাত্যায়নী দেবীকে কল্পনা করা হয় চার হাতে। তিনি সিংহে বাহিনী, এক হাতে ত্রিশূল, অন্য হাতে পদ্ম, আবার অন্য হাতে খড়্গ ও বরমুদ্রা ধারণ করেন। তাঁর দেহ আভা সোনালী ও উজ্জ্বল, যেন সূর্যের দীপ্তি। এই রূপেই তিনি অশুভ শক্তির বিনাশিনী।
শাস্ত্র মতে, কাত্যায়নী দেবীর পুজোয় ভক্তের অন্তরে সাহস, শক্তি ও আত্মবিশ্বাস জন্মায়। যাঁরা জীবনের বাধা কাটাতে চান, বিশেষত তরুণ-তরুণীরা, তাঁদের জন্য দেবী কাত্যায়নী হলেন আশীর্বাদের প্রতীক। কথিত আছে, অবিবাহিত মেয়েরা কাত্যায়নী পূজা করলে মনোনীত জীবনসঙ্গী প্রাপ্ত হন। এজন্যই তাঁকে বিবাহ-সৌভাগ্যের দেবীও বলা হয়।
আরও পড়ুন: ধুপকাঠির ধোঁয়ায় শান্তি নয়, ফুসফুসে জমছে বিষ! সিগারেটের থেকেও মারাত্মক: রিপোর্ট
উত্তর ভারতে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবন ও মথুরায় কাত্যায়নী দেবীর পূজা বিশেষভাবে পালিত হয়। এখানে ভক্তরা কাত্যায়নী মন্দিরে গিয়ে কুমারী পূজা করেন। বলা হয়, কৃষ্ণভক্ত গোপীরা একসময়ে কাত্যায়নীর আরাধনা করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণকে স্বামীরূপে পাওয়ার জন্য। আজও সেই ঐতিহ্য রয়ে গেছে।
মা কাত্যায়নীর ধ্যান মন্ত্র-
চন্দ্রহাসোজ্জ্বলকরাঃ শূলহস্তা কপাধরা।
কাত্যায়নী শুভং দধ্যান্নবর্ণা সুরনূত্থমাঃ।।
অর্থ:
চন্দ্রের মতো উজ্জ্বল, হাতে ত্রিশূল ধারণকারী, কপালমালা পরিহিতা দেবী কাত্যায়নীকে ধ্যান করি। তিনি শুভশক্তির প্রতীক, দেবতার দ্বারা বন্দিতা, নববর্ণে আলোকময়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)