বিষের কারণেই মৃত্যু হয়েছে জ়ুবিনের? হাতে এল চাঞ্চল্যকর ফরেন্সিক রিপোর্ট…


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অসম পুলিসের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT), জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গার্গের (Zubeen Garg) মৃত্যুর তদন্তে হাতে পেল বড়সড় তথ্য। শনিবার এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল) থেকে মৃত শিল্পীর ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেয়েছে এসআইটি। গত ১৯শে সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে একটি ইয়ট পার্টিতে সাঁতার কাটার সময় ডুবে যান অহমিয়া সঙ্গীতের এই আইকন। ধারণা করা হচ্ছে, ভিসেরা পরীক্ষার টক্সিকলজি রিপোর্ট থেকে জানা যাবে তাঁর মৃত্যু বিষক্রিয়ার কারণে হয়েছিল কি না। 

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন- Garima Saikia on Zubeen Garg: জ়ুবিনের মৃত্যুর ২০দিন পরেও কেন গরিমার সিঁথিতে সিঁদুর? গায়কের স্ত্রীর উত্তরে চোখে জল নেটপাড়ার…

ভিসেরা রিপোর্ট (Viscera Report) কী?
‘ভিসেরা’ শব্দটি বলতে মানবদেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলিকে বোঝায়, বিশেষ করে বুক (যেমন হৃদপিণ্ড, ফুসফুস) এবং তলপেটের (যেমন যকৃৎ বা লিভার, প্লীহা, পাকস্থলী, কিডনি ইত্যাদি) মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে। কোনো অস্বাভাবিক বা সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে (যেমন বিষক্রিয়া, ড্রাগ ওভারডোজ, বা অজানা কারণে) কারো মৃত্যু হলে, মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করার জন্য ময়নাতদন্তের সময় মৃতদেহের এই অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির কিছু নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিকে পাঠানো হয়।

এই রিপোর্টের মাধ্যমে প্রধানত যা জানা যায়, মৃত ব্যক্তির শরীরে কোনো ধরনের বিষ বা ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি ছিল কি না। শরীরে কোনো ধরনের মাদক বা অন্যান্য ওষুধের অস্বাভাবিক মাত্রা ছিল কি না। বিষ বা অন্য কোনো রাসায়নিক উপাদানের কারণে মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়।

আরও পড়ুন- Premananda Maharaj health update: চোখে-মুখে চিন্তার ছাপ! বৃন্দাবনে আশ্রমের বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অগণিত ভক্ত, কেমন আছেন প্রেমানন্দ মহারাজ?

অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (সিআইডি) এবং এসআইটি প্রধান মুন্না প্রসাদ গুপ্তা সাংবাদিকদের জানান, এই রিপোর্টটি গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তকারী ডাক্তারদের প্যানেলের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দ্রুতই আদালতে জমা দেওয়া হবে এবং জুবিন গার্গের পরিবারের কাছেও সেটি পৌঁছে দেওয়া হবে।

তিনি নিশ্চিত করেছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তারা বর্তমানে পুলিস হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া, সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন ব্যক্তির কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই এসআইটির সামনে এসে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং বাকিদেরও দ্রুত তদন্তে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন- Weather Update: আগামী সপ্তাহেই বিদায় বৃষ্টি! ‘শীতকাল কবে আসবে’, জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস…

তিনি আরও জানান, তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের কাছে পারস্পরিক আইনি সহায়তা অনুরোধ পাঠানো হয়েছে, যা বর্তমানে সিঙ্গাপুরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন। একটি এমএলএআর হলো এক দেশ থেকে অন্য দেশে অপরাধ তদন্ত বা আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য পাঠানো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক আইনি মানদণ্ড অনুযায়ী সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষই সেদেশে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের কাজটি করবে। এডিজিপি আবারও নিশ্চিত করেছেন যে মামলার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এসআইটি নির্ধারিত আইনি সময়সীমার মধ্যেই আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পারবে বলে আশাবাদী।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *