সৌরভ চৌধুরী: এবার ভোটে একটা বড় পরিবর্তন এর কথা বলেন কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) একই থাকলেও এবার রাজ্য সভার বিরোধী দলনেতা (Leader of the opposition) বদলে যাবে- এই কথা বলে শুভেন্দু কে কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। এছাড়াও বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদের (BJP MP Khagen Murmu) উপর আক্রমণ এর ব্যাখ্যা দিলেন কুনাল ঘোষ।
১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি বিজেপি সরকার। আবাসের টাকাও দেয়নি। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার শ্রমিকরা কজে গেলে বাংলাদেশি বলে তাদের উপর অত্যাচার। এই সমস্ত ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ ছিলেন। তারাই খগেন মূর্মূকে মারধোর করেন। তবে তৃনমূল তা সমর্থন করেনা। শুধু তাই নয়। বেলপাহাড়ির বিজয়া সম্মেলনীর সভা থেকে হুলা দিয়ে বিজেপিকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। জঙ্গল মহলে হুলা দিয়ে বিজেপিকে তাড়ানোর ডাক কুনাল ঘোষের। রাজ্যব্যাপি বিজয়া সম্মেলনী করার নির্দেশ অনুযায়ী আজ বিনপুর বিধানসভার বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়। শিলদার শিবশক্তি ক্লাবের অডিটোরিয়াম-এ। প্রায় ৩৫০ কর্মী ও নেতাদের উপস্থিতি তে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুনাল ঘোষ।
২০২৬ সালে বাংলায় সরকার পরিবর্তন হলে ‘বদলার‘ হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি ওয়াশ আউট হয়ে যাবে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ই থাকবেন। কিন্তু বিরোধী দলনেতার পদ থাকবে না। কারণ সেই সংখ্যক বিধায়ক বিজেপির থাকবে না। সাধারণ মানুষ বিজেপিকে সেই সংখ্যক আসন দেবে না।’
তবে, নাগরাকাটার ঘটনা নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন কুণালও। তিনি বলেন, ‘যে ঘটনাটা ঘটেছে, অত্যন্ত খারাপ ঘটনা আমরা নিন্দা করি। খুব খারাপ ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন। কিন্তু মানুষের যদি ক্ষোভ থাকে কোনও নেতা বা দলের উপর। তাহলে সমস্যাটা বুঝতে হবে। কারণ মানুষ জানে এরাই ১০০ দিনের টাকা পেতে দেয়নি। এরাই আবাসের টাকা দিতে দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হয়েছে সেই টাকা। বিপদের দিনে এরা থাকে না মানুষের পাশে। আর আজকেও ত্রাণ নিয়ে যায়নি, ফটোশ্যুট করতে গেছে। মানুষ সেখানে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা এই বিক্ষোভের পদ্ধতির সমর্থন করি না।’
এছাড়া দুর্গাপুরে গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা না বলায়, নিজে দুর্গাপুর না যাওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। সেই সঙ্গে গণধর্ষণের মতো নক্কারজনক কাণ্ড নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা। এবার সেই প্রসঙ্গেই পাল্টা শুভেন্দুকে একহাত নিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
কেন মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুর যাননি, শুভেন্দুর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুণাল বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখন কোথায় যেতে হবে, সেটা শিখতে হবে না ওঁর কাছ থেকে। উনি আবার এগুলো বোঝেন ভাল। কখন তৃণমূলে থাকতে হবে, কখন কোথায় ডাক পড়লে বিজেপিতে যেতে হবে।’ বস্তুত কুণালের এই মন্তব্যের কারণ যে শুভেন্দুর অতীতের ‘দলবদল‘, তা নিয়ে নিঃসন্দেহ অনেকেই।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)