Zubeen Garg death case: ‘জ়ুবিনের খুনিদের আমাদের হাতে ছেড়ে দাও’, উত্তাল অসম! জেলের বাইরে চলল গুলি, বন্ধ ইন্টারনেট…


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জুবিন গর্গের (Zubeen Garg) মৃত্যু মামলায় ইতোমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে ৫ ব্যক্তি। অসমের বাক্সায় (Baksa) জেলের বাইরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে গায়কের ভক্তরা। হামলার পাশাপাশি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে উন্মত্ত জনতা। জুবিন গার্গের মৃত্যু মামলায় অভিযুক্তদের নিয়ে পুলিসের যে কনভয় যাচ্ছিল, তার ওপরেই ভক্তরা আক্রমণ করে।

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন- Zubeen Garg Death Case: বিষের কারণেই মৃত্যু হয়েছে জ়ুবিনের? হাতে এল চাঞ্চল্যকর ফরেন্সিক রিপোর্ট…

বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো পাঁচজন অভিযুক্তকে বাক্সা জেলে রাখা হয়েছে। নাম-পরিচয় জানা যায়নি এমন বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্তদের নিয়ে আসা ভ্যানটির দিকে পাথর ছোড়ে এবং পুলিশের অন্তত তিনটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাথর ছোড়ার ঘটনায় পুলিসকর্মী এবং কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হন। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে দিলে, পুলিস তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং শূন্যে গুলি চালায়। জেলের পথে টায়ার এবং অন্যান্য যানবাহন জ্বলতে দেখা যায়। 

এই পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছেন সিঙ্গাপুরের অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত, জুবিন গার্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং তাঁর খুড়তুতো ভাই সন্দীপন গার্গ। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর পরে জেলে নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেই সময় জুবিনের জন্য সুবিচার (Justice for Garg) চেয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাকসা জেলা জেলের কাছে জড়ো হয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন অভিযুক্তদের বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। 

আরও পড়ুন- Garima Saikia on Zubeen Garg: জ়ুবিনের মৃত্যুর ২০দিন পরেও কেন গরিমার সিঁথিতে সিঁদুর? গায়কের স্ত্রীর উত্তরে চোখে জল নেটপাড়ার…

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েকজন তো অভিযুক্তদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ারও দাবি জানায়। পুলিসের কনভয় কোনোমতে জেলের চত্বরে প্রবেশ করতে পারলেও, বিক্ষোভকারীরা গেটে থাকা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে এবং ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিসকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করলেও, তারা তাতে কর্ণপাত না করে ক্রমশ এগিয়ে আসতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে পুলিস বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে।

একজন পুলিসস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জনতা পিছিয়ে গেলেও এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে এবং তারা এলাকা ছেড়ে চলে যায়নি। জেলের চত্বর এবং তার আশেপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং পুলিশ কর্মকর্তারা সেখানে ক্যাম্প করে আছেন। জেলখানার কাছে এবং মুশালপুর শহরে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় আরএএফ কর্মীদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে এলাকার ইন্টারনেট ব্যবস্থা। 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *