অর্ণবাংশু নিয়োগী: এসএসসি (SSC) ফল প্রকাশের আগেই নতুন মামলা। SSC-তে ৩৬০০০ নিয়োগ (SSC recruitment case) মামলায় নতুন নির্দেশ। অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর পাওয়ার জন্য যোগ্য কারা? কোন কোন পার্শ্ব শিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক, অস্থায়ী শিক্ষকরা তা পাবেন? SSC তৈরি অভিজ্ঞ শিক্ষকদের তালিকার বাইরে আর কারা? প্রকৃত শূন্যপদে (Substantative Post) চাকরি করা অস্থায়ী শিক্ষক কারা? SSC-কে হলফনামা পেশের নির্দেশ।
অস্থায়ী অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ১০ নম্বর দেওয়া হবে কি? এই প্রশ্ন করে কমিশন কে সাতদিন সময় দিল হাইকোর্ট। নম্বর দেওয়ার ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।
অভিজ্ঞতার দিকে তাঁকিয়ে সরকার কে হাত খুলে ১০ নম্বর দিতে হবে। শুধু রাজ্যের সরকারি স্থায়ী শিক্ষকেরা কেন পাবেন? অস্থায়ীদের ও শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এবার সরকারি নিয়মকে চ্যালেঞ্জ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি অস্থায়ী শিক্ষকরা মামলা করেন। ৩টে মামলা হয়। প্রায় ২০-২৫ জন মামলাকারী আছেন। তাঁদের যুক্তি ছিল তাঁরা কোথাও ২ বছর, কোথাও ৩ বছর, কোথাও প্যারা টিচার, কোথাও অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। এই কাজ করার নিরিখে SSC এর যে নিয়ম ১০ নম্বর পাওয়ার, তা তাঁদের অধিকার আছে। কিন্তু তাঁদের সেই নম্বর দেওয়া হয়নি। এইজন্যই বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ১০ নম্বর কারা পাওয়ার যোগ্য জানাতে হবে। কিন্তু আইনজীবি কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, SSC পরিষ্কার করে জানিয়েছে মামলাকারীদের নাম ওই ১০ নম্বর পাওয়ার তালিকায় নেই।
পাশাপাশি DI-দের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের বিচারপতি স্মিতা দাস দে–র একক বেঞ্চের। ৩১ অক্টোবর মধ্যে রিপোর্ট বা হলফনামা পেশের নির্দেশ। ৪ নভেম্বর পর মামলার শুনানি।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) গ্রুপ সি (Group C) এবং গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Recruitment Process) হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিয়োগের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার আর্জি সোমবার খারিজ করে দিল বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি অলোক আরাধের বেঞ্চ।
মামলাকারী ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের দাবি ছিল, শিক্ষক নিয়োগের মতোই গ্রুপ সি ও ডি পদেও দ্রুত নিয়োগের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হোক। তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তায় আছেন তাঁরা।
আবেদনকারীদের দাবি ছিল, শিক্ষক নিয়োগের মতো নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হোক। তাঁদের অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেরিতে হচ্ছে এবং নিয়োগ নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।
কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণ, আগের রায়ে ইতিমধ্যেই পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। তাই একই বিষয়ে নতুন করে আবেদন বা শুনানি চলতে পারে না। বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানায়, ‘কোনও অতিরিক্ত মামলার আবেদন শোনা হবে না। আমরা পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছি। এই অবস্থায় বারবার একই বিষয়ে মামলা করা যায় না।’
তখন মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেন, শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও শিক্ষাকর্মী (গ্রুপ সি ও ডি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দেরি হচ্ছে। এই নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটাতে শুনানি হোক।
বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি অলোক আরাধের বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, মূল মামলায় রায় ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। সেই রায়ে পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। এই অবস্থায় একই বিষয় নিয়ে বারবার আবেদনের কোনও অর্থ নেই। আদালত জানায়, অতিরিক্ত আবেদন আর শোনা হবে না।
আবেদনকারীদের আইনজীবী যুক্তি দেন, কর্মী নিয়োগে দেরির কারণেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যেভাবে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেই রকম নির্দেশ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানায়, নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি হলে তবেই নতুন করে মামলা করা যেতে পারে।
বেঞ্চ আরও নির্দেশ দেয়, ভবিষ্যতে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও আপত্তি থাকলে প্রথমে হাইকোর্টে যেতে হবে। সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে অতিরিক্ত আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে শিক্ষাকর্মী প্রার্থীদের এই আবেদন খারিজ হয়ে গেল এবং আগের রায় বহাল থাকল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)