প্রদ্যুত দাস: ধূপগুড়ি (Dhupguri) মহকুমার গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়শামারি এলাকায় পৌঁছান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বন্যা দুর্গতদের হাতে তুলে দেন ত্রাণের সামগ্রী (Releif Fund for North Bengal Flood)।
শুভেন্দুর ত্রাণ ফেরত্-
জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের গাধায়ারকুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুরসামারি এলাকায় শুভেন্দুর দেওয়া ত্রান ফিরিয়ে দিলেন কয়েকজন বানভাসি।তাদের দাবী ছিল শুভেন্দু অধিকারীর সাথে সমস্যার কথা বলবেন। বগুড়ি বাড়ি গ্রামের হোগলাপাতা বন্যা দুর্গত এলাকায় শুভেন্দু অধিকারী এমনটাই আশা করেছিলেন বানভাসিরা। কিন্তু কথা বলতে না পেরে ক্ষোভের চোটে ত্রান ফিরিয়ে দিলেন।বিজেপির বক্তব্য তৃনমূলের নেতারা এইসব শিখিয়ে দিয়েছে। ত্রাণ নিতে এসে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন বেশ কিছু মানুষজন। বানভাসিরা ক্যামেরার সামনে কেঁদে ভাসালেন।
শুভেন্দুকে চোর চোর বলে স্লোগান-
শুভেন্দু অধিকারী এলাকায় এসেও এই মানুষগুলোর সাথে দেখা করলেন না বলে অভিযোগ। ধূপগুড়ি কুর্শামারিতে এলেও পাশে থাকা ভান্ডানী বিহারি পাড়া ত্রান শিবিরে এলেন না শুভেন্দু অধিকারী। তাই বিরোধী দলনেতা কে বিক্ষোভ দেখালেন ত্রান শিবিরে থাকা বান ভাসিরা। ‘চোর চোর’ বলে স্লোগান দেন।
কার্তিক ওড়াও,সারথি রায়,বনেশ্বরী বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ সরকার- এরা সকলেই বানভাসি। চোর স্লোগান দিয়ে প্রায় তাড়ান শুভেন্দুকে।
উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন, নাগরাকাটার বিধায়ক পুনা ভিঙরা সহ বিজেপির জেলা ও মণ্ডল নেতৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারী স্থানীয় প্রশাসনের ত্রাণ কার্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানান। এরপর তিনি নাগরাকাটায় খগেন মুর্মু ও শংকর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির ধিক্কার মিছিলে যোগ দেবেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য-
‘এরা শুধু ছবি তুলতে যায়। সারাবছর থাকে না। কেন্দ্রীয় সরকার এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে কোনো টাকা দিচ্ছে না। বিজেপি নেতারা কেন্দ্রকে বলুন বাংলাকে বরাদ্দ টাকা দিতে।’
‘শুভেন্দু অধিকারী যাচ্ছেন কোনও প্রভাব নেই। গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত দল। আদি বিজেপিও পছন্দ করেন না শুভেন্দু অধিকারীকে। বিরোধী দলনেতাকে বলতে হচ্ছে আমায় চেনেন। ভিজিটিং কার্ড পকেটে রাখলে হবে না গলায় ঝুলিয়ে ঘুরতে হবে। নাহলে মানুষ বুঝবে না কে এটা। জনবিচ্ছিন্ন দল ও তার বিরোধী দলনেতা।’
বিপর্যস্ত এলাকায় মানুষকে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য নস্যাত্ করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন সেটাকে আগে স্বাগত জানান। বিজেপি এগুলো করে না এসব ভাবে না। ক্ষতিপূরণ দিয়ে মৃত্যুর কোনো তুলনা হয় না। কিন্তু পরিবারের পাশে থাকা এটাকে আগে স্বাগত জানান বিজেপি’।
‘উড়িষ্যায় পুলিস এর নিয়োগ এর পরীক্ষায় ৩০০ চাকরি বিক্রি হয়েছে । চূড়ান্ত দুর্নীতির অভিযোগ আসছে । এই চাকরি চুরির চক্রীরা পালিয়ে গেছেন এও শোনা যাচ্ছে । এবার বিজেপি নেতা যারা বড় কথা বলেন এখানে তারা গিয়ে তদন্ত করুন এসব অভিযোগের’।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)