Kalyan vs Sukanta: ‘ওরকম সুকান্ত আমার পায়ের তলায় থাকে, ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেব’, SIR নিয়ে বেনজির তরজা কল্যাণ-সুকান্তর…


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: বাংলায় SIR নিয়ে তরজা তুঙ্গে। “শ্রীরামপুরে আয় তারপর কি করে ঘরে ফিরিস দেখব”,সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) আর শনিবার শ্রীরামপুরে সভা করলেন সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এদিন বলেন,’বাইক মিছিল করে এলাম কল্যাণের দেখা পেলাম না। কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একটা জোকার ওর কথায় বিশেষ পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। কল্যাণদা আমাকে তুই তুকারি করেছেন কিন্তু আমি কল্যাণদাই বলব। আমাদের শিষ্টাচার বলে কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করতে। কিন্তু আমরা যদি মুখ খুলি তাহলে টিকতে পারবেন না। 

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন- Goutam Ghose’s wife death: ‘গৌতমদাকে সান্ত্বনা জানানোর কোনও ভাষা আমার জানা নেই’, পরিচালকের স্ত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী…

মঞ্চে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন ওনার বয়স হয়েছে ওনার অবসরের সময় এসে গেছে তাই এসব বলে ভেসে থাকতে চাইছেন। তৃণমূলের উদ্দেশ্য হলো একটাই সংখ্যালঘু মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করে রাস্তায় নামানো। এস আই আর নিয়ে প্রতিরোধ হলে সিআইএসএফ গুলি চালাতে পারে। তৃণমূল চাইছে একটা লাশ। যেটা নিয়ে রাজনীতি করতে পারবে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবেই অনুব্রত বা কল্যাণ কেউ বাঁচাতে পারবে না। এসআইআর করছে নির্বাচন কমিশন বিজেপি করছে না। সুকান্ত আরো বলেন,আমরা ভালো খেলতে পারি। ভালো খেলোয়ার আছে আমাদের। আমাদের ঝান্ডায় ডান্ডা আছে। বিজেপি কর্মিদের বলব প্রয়োজনে খেলবেন পুলিশ কোর্ট সুকান্ত মজুমদার বুঝে নেবে’।

এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আজ কর্মীরা ঝাণ্ডা ডান্ডা দুইই এনেছে । রাস্তার চারদিকে দেখতে দেখতে আসছিলাম কোথায় কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বন্দুক নিয়ে দাড়িয়ে। ময়দানে নেই আজকেও । সারাজীবন আমরা মাঠে ঘাটে থেকেছি । চলুন তৃণমূল এর নেতারা জমির আল ধরে । ফাঁকা কলসি বাজে বেশি কোর্টে। SIR হবে । কোর্ট বলে দিয়েছে । ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। কারো কথায় ভুল বুঝবেন না । তৃণমূল কংগ্রেস এর নেতারা বাইরে আসবে না। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে গুলি চলবে ।  সামসেরগঞ্জের দাঙ্গায় গুলি চলেছিল । CISF এর সঙ্গে পুলিশও চালিয়েছিল। তাহলে সেই গুলি চালানোর তদন্ত করুন । এস আই আর করছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির সিদ্ধান্ত নয় এটা । ম্যাপিং হচ্ছে এখন । ২০০২ এ কাদের নাম ছিল ভোটার তালিকায় আর এখন কাদের আছে । উত্তর ২৪ পরগনায় দেখা যাচ্ছে ৫৫% মানুষের নাম নেই । নাম কোথা থেকে ঢুকল । এই বাংলার তো পাকিস্থানে যাওয়ার কথা ছিল । এই বাংলায় রাজীব ব্যানার্জি সাবিনা ইয়াসমিন হুমকি দেবে । রক্ত গঙ্গা বওয়াতে গেলে সেই আগুনে আপনারা পুড়বেন। বাঙালির সঙ্গে কেও যদি মীরজাফর গিরি করে সেটা মমতা । পুলিশ সরিয়ে আসুন দেখি কত দম কার আছে ‘।

বিজেপি নেতা আরও বলেন, ‘যদি দম থাকে পুলিশ সরিয়ে নামুন রাস্তায় আমরাও নামব কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে । পুলিশ সরে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস এর একটাও পার্টি অফিস থাকবে না । ভাইপো বাড়ি থেকে বেরোবে না । সুকান্ত মজুমদার ২৯ এও জিতে টিকে থাকবে রাজনীতিতে । গোটা দেশে এস আই আর হবে । যেহেতু ৫ টি জায়গায় ভোট আছে তাই সেখানে আগে হবে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধিতা কেউ করেনি । রাহুল গান্ধী ও এমন কিছু বলেনি । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে বলছে মীরজাফর। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাণ ভোমরা আছে এস আই আর-এর মধ্যে ভোটার তালিকার মধ্যে। ঠিক যেমন রামচন্দ্র রাবণকে সরিয়েছিল আমার বিশ্বাস নরেন্দ্র মোদি রাজনৈতিকভাবে এরাজ্যের রাবণকে সরিয়ে দেবে’ ।

আরও পড়ুন- Kali Puja 2025: মা কালীর সঙ্গেই পুজো পান সত্য পীর! চেটেপুটে প্রসাদ খান হিন্দু-মুসলিম সবাই…

সুকান্ত মজুমদারের উত্তরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদার বলেছিল SIR নিয়ে প্রতিবাদ করলে গুলি করে মারব। একটা গুলি করুক, ওকে ঘরে ফিরে যেতে হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে গুলি করুক দেখুক। আমি ওর মতো ক্ষ্যাপা শেয়ালের মতো ঘুরে বেড়াই না। আমাকে খুঁজলে ওভাবে পাবে না। ওর কাজ নেই। ও ৪২০ বেকার ছেলে। কাল তো আমার সাথে বিমানে দেখা হল ওর। তখন বলতে পারত ও আসবে। আমি ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করিনা। মোদী না থাকলে কুকুর বিড়াল এদের নিয়ে চলে যাবে। কল্যাণের ক্ষমতা ওরা আগে দেখেছে। ওর বাবা মোদী, আর কাকা অমিত শাহ দেখেছে। মোদী এসেও কিছু করতে পারে না। ওরম সুকান্ত আমার পায়ের তলায় থাকে। হিম্মত থাকলে আসুক শ্রীরামপুরে। ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেব। এক বাপের ব্যাটা হলে সিআইএসএফ দিয়ে গুলি করত’।

তৃণমূল নেতা আরও বলেন, ‘ওরা হিংসার রাজনীতি ছাড়া কিছু করে না। তুই ডান্ডা নিয়ে আয়। দেখিয়ে দেব ডান্ডা দিয়ে কি করতে হয়? একটা হরিদাস লোক। অশিক্ষিত মানুষ বেসিক্যালি একটা। ওদের উদ্দেশ্যে ধরা পড়ে গেছে। তাই পাগলা কুকুরের মতো দৌড়ছে। মোদী আমার এখানে এসেছিল। মোদীর হিম্মত হয়নি আমাকে হারানোর। সুকান্ত হাঁটুর নীচে থাকে। অমিত শাহের হিম্মত থাকলে বলুক উত্তরবঙ্গে আলাদা রাজ্য হবে। ওর এঁড়ে মাথায় কিছু আসবে না। হিসাব থাকলে পলিটিকাল স্টেটমেন্ট করুক অমিত শাহ’।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *