এ কালী হিংসুটে! এই মন্দির ছাড়া কোনও বাড়িতে করা হয় না পুজো… এমনকী কারও ফোনে নেই অন্য কালীর ছবি…| This Kali is fierce Worship is not performed at any home except this temple No one even has pictures of other Kalis on their phones


পার্থ চৌধুরী: এ কালী হিংসুটে কালী! চারশো বছরের পুজো মেনে এই কালী ছাড়া অন্য কালীর মুখ দেখা বারণ। এমনকি ক্যালেন্ডারে কালীর ছবির জিভ অবধি অন্য কালি ব্যবহার করে মুছে দিতে হয়। এ কালীর নাম সিদ্ধেশ্বরী কালী। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের কোলসারা গ্রামের এই অদ্ভুত কালীর প্রতাপের কথা।

Add Zee News as a Preferred Source

পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামে একটি মা কালী ছাড়া আর কোনও কালী পুজো হয় না এমনকি কেউ বাড়িতে মা কালীর ছবি পর্যন্ত রাখেন না।  প্রায় ৪৫০ বছরের বেশি প্রাচীন সিদ্ধেশ্বরী মা কালীর রোমহর্ষক কাহিনী। 

আরও পড়ুন:Plane Accident: ভয়ংকর! ল্যান্ডিংয়ের সময় রানওয়ে থেকে প্লেন ছিটকে পড়ল সমুদ্রে, মৃত…

ইতিহাস:
আনুমানিক ৪৫০ বছর আগের কথা। শের শাহের আমলে তহশিলদার ছিলেন দিগম্বর ঘোষাল। জনশ্রুতি এই যে, মা কালী স্বপ্নাদেশ দেন পূর্ব বর্ধমানের কোলসারা গ্রামে তাকে প্রতিষ্ঠা করে পুজো করার জন্য। তখন থেকেই পূজিত হচ্ছেন মা সিদ্ধেশ্বরী। কোলসরা গ্রামে ঢুকলেই এমন সব কথা শোনা যায়, যা শুনলে চমকে যাবেন! গ্রামে রয়েছে একটিই কালী মন্দির ওই মন্দিরে ছাড়া আর কোনও বাড়িতে কালীপুজো হয় না। কোনও বাড়িতে মা কালীর ছবি পর্যন্ত রাখেন না গ্রামবাসীরা। এমনকি যে সব ক্যালেন্ডারে মা কালীর ছবি থাকে সে ক্যালেন্ডার পর্যন্ত বাড়িতে রাখেন না। গ্রামের কারও ফোনে নেই কোনও মা কালীর ছবি। 

আরও অবাক হয়ে যাওয়ার বিষয় হল কোনও বহুরূপীও নাকি মা কালী সেজে গ্রামে প্রবেশ করতে পারেন না, গ্রামের রাস্তা দিয়ে অন্য গ্রামে মা কালীর মূর্তি পর্যন্ত নিয়ে যান না কেউ। মায়ের মন্দিরে পুজোর সময় কোনও মহিলা প্রবেশ করে না। ঘর বন্ধ অবস্থায় ব্রাহ্মণ বংশের মানুষই মায়ের প্রতিমা তৈরি করে। গ্রামের শ্মশানে রাতে কেউ কখনও থাকে না।

আরও পড়ুন:Sonarpur: আচমকা চিত্‍কার! মেঝেতে পড়ে রক্তাক্ত ৪-র প্রত্যুষা, দাদু-দিদাই… শকিং সোনারপুর!

গ্রামবাসীদের বিশ্বাস:

কথিত আছে, গ্রামের মানুষ নাকি এই মন্দিরে বা ভোরের রাস্তায় দেখতে পেয়েছেন স্বয়ং মা কালীকে। পুজোর সময় দূরদূরান্ত থেকে পূর্ব বর্ধমানের কোলসরা গ্রামের জাগ্রত মা সিদ্ধেশ্বরী মন্দির এবং মাকে দর্শন করতে আসেন প্রচুর ভক্তরা। ভক্তদের বিশ্বাস মায়ের কাছে যদি কোনও ভক্ত কিছু চায়, মা তাকে খালি হাতে ফেরান না। চাকরি থেকে বিয়ে মায়ের কাছে সব আবদার চলে। আগে অর্শ বা বাতের ব্যাথার ওষুধ দেওয়া হত মায়ের বাড়ি থেকে। 

গ্রামের দুই বাসিন্দা চন্দন ভট্টাচার্য এবং কালীপদ মাঝি জানান, কোলসরা গ্রামের একমাত্র আরাধ্যা দেবী এই সিদ্ধেশ্বরী মা। পুজো, পার্বণ আচার অনুষ্ঠান সব এই মাকে কেন্দ্র করে। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস মা সিদ্ধেশ্বরী গ্রামবাসীদের আগলে রেখেছেন। চার শতাব্দী ধরে এই মায়ের মহিমাকে বিশ্বাসে রেখেছেন গ্রামবাসীরা।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *