Sonarpur: ঠিক কতটা নৃশংসভাবে দাদুর হাতে খুন হয় ছোট্ট প্রত্যুষা? ময়নাতদন্তে সামনে এল হাড়হিম রিপোর্ট…


তথাগত চক্রবর্তী: সোনারপুরের সুভাসগ্রামে নৃশংস খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট- শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে ছোট্ট প্রত্যুষা কর্মকারকে। খুনের পর ধারাল কোনও বস্তু দিয়ে তার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। তবে যৌন নির্যাতনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা। 

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন:Bengal Weather Update: হেমন্তের হাওয়া তছনছ করবে নিম্নচাপ! উইকেন্ডে ধেয়ে আসছে বাংলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ তুমুল বৃষ্টি…

পুলিস সূত্রে খবর, এই ভয়াবহ ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রত্যুষার দাদু প্রণব ভট্টাচার্যকে। প্রণববাবু বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ। বার্ধক্যজনিত নানান রোগে ভুগছে সে, রয়েছে শ্বাসকষ্টও। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই আজ তাকে বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রণববাবু সাধারণত শান্ত, চুপচাপ মানুষ হলেও, নাতনির দুষ্টুমি বা চিৎকার-চেঁচামেচি একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না। মাঝে মধ্যেই নাতনিকে বকাঝকা কিংবা মারধর করতেন বলেও প্রতিবেশীদের দাবি।

সম্প্রতি একাধিকবার নাতনিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। প্রণববাবুর এই আচরণে বিরক্ত হচ্ছিলেন তার মেয়েও ৷ ফের মেয়েকে মারধর করলে, প্রণববাবুকে হাসপাতালে ভর্তি রাখার কথাও বলা হয়। তার পর থেকেই আরও গুটিয়ে যান তিনি। প্রাথমিক অনুমান, শনিবার দুপুরে প্রত্যুষা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পরই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় শিশুটিকে। ঘটনার পর গোটা সোনারপুর এলাকায় নেমে এসেছে শোক ও ক্ষোভের ছায়া। পুলিস ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে নেমেছে।

আরও পড়ুন:Kali Puja 2025: এ কালী হিংসুটে! এই মন্দির ছাড়া কোনও বাড়িতে করা হয় না পুজো… এমনকী কারও ফোনে নেই অন্য কালীর ছবি…

আরও জানা যায়, ধৃত প্রণব ভট্টাচার্যের দুই মেয়ে। দশ বছর আগে বড় মেয়ের অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়। ছোটমেয়ের কাছেই থাকতেন প্রণববাবু ও তার স্ত্রী। ছোটমেয়ের পুত্রসন্তান চেয়েছিলেন প্রণব ভট্টাচার্য। কিন্তু ছোটমেয়ের হয় কন্যা সন্তান।  প্রত্যুষার মা কলকাতার এক নামী বৈদ্যুতিক বিপণিতে কর্মরত এবং বাবা একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্টাফ। বাবা-মা দুজনেই কাজে বেরিয়ে যাওয়ায় দাদু-দিদা কাছেই থাকত প্রত্যুষা। তাকে দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন এক মহিলাও। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আচমকা বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে তাঁরা দৌড়ে যান। ঘরে ঢুকতেই দেখেন রক্তে ভেজা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে প্রত্যুষা। দ্রুত তাকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *