রিয়া বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ৬দিন আগেই, সুশান্তের সঙ্গে ছিলেন…CBI-এর ক্লোজার রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর ৫ দাবি


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত-এর (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু মামলায় তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী-কে (Rhea Chakraborty) ‘ক্লোজার রিপোর্ট’-এ ক্লিন চিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI)। সিবিআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, রিয়া সুশান্তকে ‘অবৈধভাবে আটকে রেখেছিলেন, হুমকি দিয়েছিলেন, বা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন’— এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে, কেন্দ্রীয় সংস্থার এই রিপোর্টে সন্তুষ্ট নন সুশান্তের পরিবার। তারা এই রিপোর্টকে ‘চোখে ধুলো দেওয়া’ এবং একটি ‘অসম্পূর্ণ নথি’ বলে বর্ণনা করেছে।

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন- Asrani Funeral: ‘আধে ইধার যাও, আধে উধার যাও, ঔর বাকি হামারে সাথ আও’! আসরানির কিংবদন্তি ডায়লগই যেন ফিরল শ্মশানে, কেউ এলেন না! কেন?

জনপ্রিয় বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত, যিনি ছোটপর্দায় পবিত্র রিশতা, ঝলক দিখলা যা থেকে শুরু করে বড়পর্দায় কেদারনাথ এবং ছিছোড়ে-এর মতো কাজের জন্য পরিচিত, ২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাটে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এটি বিনোদনের দুনিয়ায় ভারতের অন্যতম বিতর্কিত মামলায় পরিণত হয়। সিবিআই এই বছরের মার্চে দুটি ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করে— একটি সুশান্তের বাবা কে.কে. সিং-এর পাটনায় দায়ের করা রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে করা মামলার ওপর এবং অন্যটি মুম্বইতে রিয়ার দায়ের করা সুশান্তের বোনদের বিরুদ্ধে করা মামলার ওপর।

কে.কে. সিং-এর অভিযোগে রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর বাবা লেফেটেন্যান্ট কর্নেল ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী ও মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী, ভাই শৌভিক, সুশান্তের ম্যানেজার শ্রুতি মোদী এবং হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা-কে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। সিবিআই ক্লোজার রিপোর্টের মূল ৫টি বড় তথ্য:

১. সিবিআই-এর তদন্তে জানা যায় যে, রিয়া এবং শৌভিক ৮ জুন সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান এবং এরপর আর সেখানে যাননি। রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়েছে, “৮ জুন, ২০২০ থেকে ১৪ জুন, ২০২০-এর মধ্যে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিই তাঁর সাথে থাকেননি।” এই সাত দিনে সুশান্তের সঙ্গে রিয়া বা তাঁর পরিবারের কারও অন্য কোনো মাধ্যমে কথোপকথন হয়নি। তিনি কেবল ১০ জুন বিকেল ২:৪১ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে শৌভিকের সাথে কথা বলেছিলেন।

আরও পড়ুন- Popular Actress: বাথরুম থেকে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা! আদালতে উত্তমের নায়িকার দাবি, ‘দেহব্যবসা করে কামিয়েছি’…

২. যদিও অভিযুক্তদের সুশান্তের সঙ্গে থাকার কোনো প্রমাণ মেলেনি, সিবিআই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সুশান্তের বোন মিতু সিং ৮ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত তাঁর ফ্ল্যাটেই ছিলেন। রিয়া ও শৌভিক ছাড়াও সুশান্তের ম্যানেজার শ্রুতি মোদী সেই বছর ফেব্রুয়ারিতে পা ভেঙে যাওয়ার পর থেকে তাঁর বাড়িতে যাননি।

৩. রিয়ার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে, সিবিআই জানিয়েছে যে, ৮ জুন রিয়া যখন তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে সুশান্তের ফ্ল্যাট ছেড়েছিলেন, তখন তিনি “তাঁর অ্যাপল ল্যাপটপ এবং অ্যাপল রিস্টওয়াচ, যা সুশান্ত তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন, সেগুলি নিয়ে যান।” সিবিআই বলেছে, এই ছাড়া আর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা থেকে বোঝা যায় যে রিয়া বা অন্য কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি অসৎভাবে বা সুশান্তের অজান্তে তাঁর কোনো সম্পত্তি নিয়ে গেছেন।

৪. কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, রিয়া এবং সুশান্ত এপ্রিল ২০১৯ থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত ‘লিভ-ইন’ সম্পর্কে ছিলেন। সুশান্তের বাবার অভিযোগের বিপরীতে, প্রয়াত অভিনেতার সমস্ত আর্থিক বিষয় তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং আইনজীবী দ্বারা সম্পূর্ণভাবে পরিচালিত হত। সুশান্তের নির্দেশেই ম্যানেজার ২০১৯ সালের অক্টোবরে ইউরোপে রিয়াকে নিয়ে তাঁর ভ্রমণের বুকিং করেছিলেন। সিবিআই আরও জানিয়েছে যে সুশান্ত তাঁর ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানিকে “এও বলেছিলেন যে রিয়া পরিবারের অংশ।” সংস্থা উল্লেখ করেছে, রিয়াকে পরিবারের অংশ হিসেবে বিবেচনা করার কারণে তাঁর উপর করা খরচগুলিকে ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC)-এর ধারা ৪২০-এর আওতায় আনা যায় না।

আরও পড়ুন- James: জনপ্রিয় বাঙালি গায়ক তৃতীয় বিয়ে সারলেন মার্কিন কন্যার সঙ্গে! জানালেন, বাবাও হয়েছেন…

৫. তদন্তকারী সংস্থা বলেছে যে, ডিজিটাল ডেটা-সহ কোথাও রিয়া বা অন্য কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষ থেকে সুশান্তকে হুমকি দেওয়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে করা একমাত্র অভিযোগটি হলো, তিনি নাকি তাঁদের বলেছিলেন যে, রিয়া তাঁকে হুমকি দিয়েছেন যে যদি তিনি তাঁর কথা না শোনেন, তবে তিনি তাঁর চিকিৎসার রেকর্ড জনসমক্ষে প্রকাশ করে দেবেন। তবে, এই প্রমাণ ‘গুজব’-এর পর্যায়ে রয়েছে।”

সবশেষে, সিবিআই-এর ক্লোজার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা থেকে বোঝা যায় যে “অভিযুক্তদের দ্বারা তাৎক্ষণিক কোনো প্ররোচনা/উসকানি” দেওয়া হয়েছিল, যা সুশান্তকে আত্মহত্যা করতে পরিচালিত করতে পারে। এছাড়াও, রিপোর্টে বলা হয়েছে, “অভিযুক্ত বা অন্য কোনো ব্যক্তির দ্বারা সুশান্তকে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছিল বা কোনোভাবে সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল, এমন কোনো প্রমাণও রেকর্ডে আসেনি।” পাটনা আদালত এই ক্লোজার রিপোর্টের বিষয়ে পরবর্তী শুনানি করবে এই বছরের ২০ ডিসেম্বর।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *