Khejuri Shocker: শুভেন্দুর খাস তালুকেই ৪ বছরের শিশুর শরীরে হায়নার থাবা! টাকার টোপে মুখ বন্ধেরও চেষ্টা প্রতিবেশি যুবকের…


কিরণ মান্না: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামের ঠিক পাশের বিধানসভা কেন্দ্র খেজুরিতে সাড়ে চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এক প্রতিবেশী যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আর এই নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে বিজেপি প্রধানের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ — টাকায় ধামাচাপার অভিযোগ। বিতর্ক তুঙ্গে! ‘নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বড় বড় বক্তব্য, কিন্তু এবার তাঁর খাসতালুকে শিশুর উপর এমন ঘটনায় নীরব কেন?’

Add Zee News as a Preferred Source

খেজুরির কষতলাতে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৫ বছরের এক নাবালক। অভিযুক্তের পরিবার বিজেপি-ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। অভিযোগ, ঘটনার পর স্থানীয় বিজেপি প্রধান কলিপদ মণ্ডল টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রথমে ভুক্তভোগী পরিবারের হাতে ৩০ হাজার টাকার প্রস্তাব দেওয়া হলেও চুক্তি ভেস্তে যায়, এরপরই পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ। স্থানীয়দের দাবি, অপরাধ ঢাকতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের অভিযোগ — ‘নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বড় বড় বক্তব্য, কিন্তু এবার তাঁর খাসতালুকে নীরব কেন?’

শিশুর পরিবারের অভিযোগ, গত ২৫ ‌অক্টোবর সকালে তারা থানায় পৌঁছে যান ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে। কিন্তু শুরুতে পুলিশের কাজে গাফিলতি ছিল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থানাতেই বসেছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। পরে রাতের দিকে অভিযোগ দায়ের হয়। করানো হয় শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষাও।

কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ‘তালপাটি কোস্টাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই পুলিশ তদন্তে নেমেছে। এক জন অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।’

অন্যদিকে বিজেপি জানিয়েছে, ‘অপরাধী যেই হোক, শাস্তি হোক, তৃণমূলের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

বর্তমানে তালপাটিঘাট কোস্টাল থানার তত্ত্বাবধানে ঘটনার তদন্ত চলছে। ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব সাধারণ মানুষ, আর রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য।

ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ঘটনা জানাজানি হতেই বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান মিটমাট করানোর চেষ্টা করেছিলেন।

তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডার অভিযোগ, ‘ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি রফা করার জন্য নাবালিকার পরিবারকে চাপ দেওয়া হয়। তবে আমরা দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

পাল্টা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক খেজুরির পবিত্র দাস বলেন, ‘খেজুরিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। কিন্তু তৃণমূল ইচ্ছাকৃত ভাবে এর সঙ্গে বিজেপির পঞ্চাচায়েত প্রধানের নাম জড়ানোর চেষ্টা করছে। সালিশি সভা ডেকে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি দামাচাপা দেওয়ার অপবাদ দিচ্ছে, যা অত্যন্ত অপমানজনক। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।’

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *