শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: এস আই আর (SIR) নিয়ে জেলা নেতাদের আজ ডেকে বৈঠক করছিলেন তৃণমূল নেতা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mullick)। হঠাত্ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি অফিস ঘরে অতর্কিত ঢুকে আসেন। এসে সজোরে ধাক্কা মারেন (Attacked on Jyotipriyo Mullick) এবং সকলের সামনে ফেলে দেন তাঁকে। ধাক্কা মেরে ওই ব্যক্তি বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিকিউরিটি ধরে ফেলে তাকে। বিধান নগর নর্থ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। মনে করা হচ্ছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন ওই ব্যক্তি। নিজের কেন্দ্রে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি স্বভাবতই অবাক।
এর আগে, হাসপাতাল (Habra Hospital) পরিদর্শনে গিয়ে রোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন হাবরার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। হাবরা হাসপাতাল পরিদর্শনে যান জ্যোতিপ্রিয়। সেখানে তাঁকে পেয়ে হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগী ও তাদের পরিজনেরা।
তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের ওয়েটিং রুমে ফ্যান নেই, শৌচালয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় (No fan, closed bathroom)। এমনকী বিকেলের পর সেটি বন্ধও রাখা হয়। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় রোগীর সঙ্গে আসা পরিজনদের। বিধায়ক অবশ্য রোগীদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করেন।
বিধায়ক সরাসরি হাসপাতালের সুপার, হাবরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং পুরসভার চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন, রাতের মধ্যেই হাসপাতালের বসার জায়গায় ফ্যান বসাতে হবে এবং বাথরুম কখনো বন্ধ করা যাবে না। কারও কাছ থেকে টাকাও নেওয়া যাবে না শৌচালয় ব্যবহার করার জন্য।
পরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষের জন্য কাজ করছেন। আমাদের লক্ষ্য, কেউ যেন সমস্যায় না পড়ে। আমরা মাঝেমধ্যেই হাসপাতাল পরিদর্শন করব।’
বিধায়কের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন রোগীর পরিজনেরা। তাঁদের কথায়, বারংবার প্রশাসনের বিভিন্নস্তরে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছিল না। অবশেষে বিধায়ককে বিক্ষোভ দেখিয়ে হাতেনাতে ফল পেলাম। এতে আমরা উপকৃত হব।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, রাজ্যে রেশন বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়, যাঁকে দলের ভিতরে ও বাইরে অনেকেই “বালু” নামে চেনেন। দীর্ঘ জেরা ও প্রমাণ সংগ্রহের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ১৪ মাস তদন্তের পর, চলতি বছরের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে তিনি জামিন পান। জামিনে মুক্তি পাওয়ার মাত্র সপ্তাহখানেক পর একই মামলায় অভিযুক্ত তাঁর ঘনিষ্ঠ আনিসুরও জামিনে ছাড়া পান।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, রাজ্যে রেশন বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়, যাঁকে দলের ভিতরে ও বাইরে অনেকেই “বালু” নামে চেনেন। দীর্ঘ জেরা ও প্রমাণ সংগ্রহের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ১৪ মাস তদন্তের পর, চলতি বছরের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে তিনি জামিন পান। জামিনে মুক্তি পাওয়ার মাত্র সপ্তাহখানেক পর একই মামলায় অভিযুক্ত তাঁর ঘনিষ্ঠ আনিসুরও জামিনে ছাড়া পান।
আরও পড়ুন: SIR in Bengal: ফের SIR আতঙ্ক! বর্ধমানের বিমল সাঁতরার রহস্যমৃত্যু… ছেলের চাঞ্চল্যকর দাবি…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
