জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলায় SIR শুরু হতেই (SIR in Bengal), এসআইআর আতঙ্কে শুরু হয়েছে ‘মৃত্যুমিছিল’। আগরপাড়া, কোচবিহার, ডানকুনি, দীঘা, উলুবেড়িয়া, কান্দি, ইলামবাজারের পর এবার সেই তালিকায় যোগ হল বীরভূমের সাঁইথিয়া, দক্ষিন ২৪ পরগনার কুলপি ও জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির নাম (SIR deaths in Bengal)।
SIR আতঙ্কে সাঁইথিয়ায় মৃত্যু প্রৌঢ়ের
বীরভূমের ইলামবাজারের পর এবার সাঁইথিয়ায় ফের এসআইআর আতঙ্কে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২৪ নম্বর পার্টের বাসিন্দা বিমান প্রামানিক (৫২) নামে ওই ব্যক্তি গত তিনদিন ধরে চরম মানসিক উদ্বেগে ভুগছিলেন। পরিবারের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর ও তাঁর দিদি মল্লিকা পালের পদবী ভুল করে “প্রামানিক”-এর বদলে “পাল” লেখা হয়েছে। এই নিয়েই আতঙ্কিত ছিলেন বিমানবাবু। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকার বিএলও’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আশ্বাস পেলেও উদ্বেগ কাটেনি তাঁর। বুধবার সন্ধ্যায় আচমকা বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত তাঁকে সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
SIR আতঙ্কে মৃত্যু কুলপিতে
এসআইআর আতঙ্কে স্ট্রোক! হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কুলপির শাহাবুদ্দিন পাইকের। দক্ষিন ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভার ঢোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীচরণপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন শাহাবুদ্দিন পাইক। শনিবার ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত কাজে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন BLO। তিনি শাহাবুদ্দিন পাইককে জানান, তাঁর স্ত্রীর নাম ভোটার তালিকায় নেই। এই কথা শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শাহাবুদ্দিন। এসআইআর নিয়ে আতঙ্কে স্ট্রোক হয় তাঁর। শাহাবুদ্দিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। তৃণমূল তোপ দেগেছে বিজেপিকে। নিশানা করেছে কেন্দ্রকে।
SIR আতঙ্কে বৃদ্ধের মৃত্যু ধূপগুড়িতে
বাড়িতে বিএলও, সেই অবস্থাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া অঞ্চলের বর্মনপাড়ার ১৭০ নম্বর বুথে। মৃতের নাম লালুরাম বর্মন (৮০)। ভোটার তালিকায় নাম ছিল না ওই ব্যক্তির। এসআইআর আতঙ্কেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে বিজেপি SIR আতঙ্কে মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য ঈশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, কাকতালীয়ভাবে বিএলও যখন ওই বাড়িতে ছিলেন, তখনই মৃত্যু হয় কালুরাম বর্মন নামে ওই ব্যক্তির। ওই ব্যক্তি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। এর সঙ্গে এসআইআরের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু মৃতের পরিবারের দাবি, লালুরাম অসুস্থ থাকলেও এসআইআর নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তৃণমূলও দাবি করেছে যে, এসআইআর আতঙ্কেই মৃত্যু হয়েছে এই বৃদ্ধের। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি দীপু রায়ের দাবি, ওই ব্যক্তি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন। ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। আমাদের ধারণা এই কারণেই আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
