মৌমিতা চক্রবর্তী: আগামী ৬ ডিসেম্বর বড়সড় ধামাকা-র হুঁশিয়ারি দিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ওই দিন বড়করেই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস হবে বলে জানালেন হুমায়ুন। কারণ বাবরি মসজিদ একটি আবেগ। বাবরি ভাঙার কোনও দরকার ছিল না। এমনটাই বললেন তৃণমূল বিধায়ক।
জি ২৪ ঘণ্টায় হুমায়ুন কবীর বলেন, বাবরি মসজিদ মানুষের একটা আবেগ। একটা ঐতিহাসিক সৌধ বাবর করে গিয়েছিলেন। সেটি দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু সেটা ভাঙার দরকার ছিল না। সেটা নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু সেটি নতুন করে গড়ে তোলার পেছনে তো কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।
হুমায়ুন কবীর বলেন, এটা একটা বার্তা। দেশে একাধিক মন্দির হচ্ছে। একাধিক পুজো হচ্ছে। দুর্গাপুজোতে কার্নিভ্য়াল হচ্ছে। পুজোতে সরকারি আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। তাহলে মসজিদ তৈরিতে আপত্তি কোথায়? ৬ ডিসেম্বর বারোটার পর মসজিদের শিলান্যাস হবে। বাংলার যারা নামী দামী মুসলিম ধর্মীয় ব্য়ক্তিত্ব আছেন তারা রয়েছেন আমন্ত্রিতদের তালিকায়। তাছাড়া আমাদের জেলায় ৩ জন এমপি, ২২ জন বিধায়ক তাদের ,সবাইকেই আমন্ত্রণ করব। কে আসবেন, কে আসবেন তা তাদের ব্যাপার।
আরও পড়ুন-‘হিন্দুরা না থাকলে এই পৃথিবীও থাকবে না’, কেন! মণিপুরে কেন এমন দাবি ভাগবতের?
তৃণমূল নেতা তন্ময় ঘোষ এনিয়ে বলেন, বাবরি মসজিদ নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে বহু আলোচনা হয়েছে। দলের পক্ষে থেকে আমরা ৬ ডিসেম্বর বাবরি ধ্বংসের দিন সংহতি দিবস পালন করে থাকি। তার বাইরে হুমায়ুন কবীর কী বলছেন বা করছেন তা নিয়ে দলের কোনও বার্তা নেই। গোটা বিষয়টির উপরে দলের নজর রয়েছে। বাইরে বলার যদি সময় আসে তা বলা হবে।
মসজিদের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকার সুযোগ নেই। চিঠি পাঠিয়ে কী হবে। যারা আসবেন তাদেরই চিঠি দেব।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
