Pratyusha Banerjee Death case: প্রত্যুষার মৃত্যুর আসল কারণ কী চাপা দেওয়া হয়েছে? রাহুলের দাবি ঘিরে বিতর্কের ঝড়…


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০১৬ সালে টেলিভিশন তারকা প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন তাঁর প্রেমিক রাহুল রাজ সিংহ। তখন থেকেই তাঁকে ঘিরে তোলপাড় হয় দেশজুড়ে-অভিযোগ ওঠে খুনের, সমাজমাধ্যমে চলে প্রকাশ্য দোষারোপ। দীর্ঘদিন পর, একান্ত সাক্ষাৎকারে রাহুল জানালেন সেই দিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, প্রত্যুষার মানসিক অবস্থা এবং নিজের জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়ের কথা।

Add Zee News as a Preferred Source

রাহুল বলেন, প্রত্যুষা তাঁকে জানিয়েছিলেন নিজের পরিবারের বিশেষ করে বাবার আচরণ তাঁকে কতটা মানসিকভাবে ভেঙে দিত। তিনি জানান, ‘ও খুব ভেতর থেকে নড়ে যেত। ওর বাবা ওকে খুবই খারাপ ব্যবহার করতেন। গালাগাল, অপমান-এই সব ও সহ্য করতে পারত না।’ তিনি আরও জানান, ‘প্রত্যুষা প্রায়ই বলত যে ও নিজের উপার্জিত টাকা দিয়ে সংসার চালাচ্ছে, আর তাঁর বাবা সেই টাকা মদ খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে-যা তাঁকে আরও মানসিকভাবে চাপে ফেলত।’

আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান! ‘মেজর মোহিত শর্মার বায়োপিক নয়…’ পরিচালকের বার্তা, তবে কার গল্প ‘ধুরন্ধর’ ?

ঘটনার দিন তাঁদের শেষ ফোনালাপও ছিল আবেগে পরিপূর্ণ। রাহুল জানান, ‘আমি জিজ্ঞেস করছিলাম, কেন এত খারাপ লাগছে? তখন ও বলল, ওর বাবা আবার গালাগাল করেছেন। এক বাবা নিজের মেয়েকে এই সব কথা বললে সেটা কতটা কষ্ট দেয়-আমি নিজে বাবা হয়ে সেটা বুঝতে পারি।’

এরপর আসে সেই ভয়াবহ মুহূর্তের কথা, যেটা আজও রাহুলকে তাড়া করে বেড়ায়। তিনি জানান, ‘প্রত্যুষা দরজা না খুললে তিনি তালাচাবিওয়ালাকে ডাকেন। ফ্ল্যাটের বারান্দা সংযুক্ত থাকায় পিছন দিক থেকেও চেষ্টা করা হয়। তালাচাবিওয়ালা ভেতরে তাকাতেই ভয় পেয়ে যান। দরজা খুলতেই রাহুল দেখেন প্রত্যুষার ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। ‘কালো সাটিন ড্রেস পরা ছিল। দৃশ্যটা এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে আজও ভুলতে পারিনি,’ জানান রাহুল। তিনি দাবি করেন, তিনি নিজেই প্রত্যুষাকে হাসপাতালে নিয়ে যান, পথে সিপিআর-ও দেন। রাহুলের কথায়, প্রত্যুষা তখনও বেঁচে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না।

আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন তনুশ্রী, লাস ভেগাসে জমকালো আয়োজন! পাত্র কে?

প্রত্যুষার মৃত্যু-পরবর্তী তদন্ত এবং জনরোষের প্রসঙ্গে রাহুলের অভিযোগ, পুরো দোষটা তাঁর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে সবাই। তদন্তও ভুল পথে চলে গেছে। তাঁকে শেষকৃত্যে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি। ‘সবাই শুধু বলছিল-ওই খুনি, ও-ই ওকে মেরেছে।’ রাহুলের প্রশ্ন, ‘আমি কি মুম্বই এসেছিলাম নিজের প্রেমিকাকে মারতে?’

আজও ‘খুনি’ তকমা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে বলে জানিয়ে রাহুলের আক্ষেপ-‘সত্যিটা রাগ-ক্ষোভের চাপে চাপা পড়ে গিয়েছিল। সেই দিনের বোঝা আমি এখনও বয়ে বেড়াই।’

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *