রণয় তিওয়ারি: অশোক কুমার দাস। ৪৮ বছর বয়স। মুচিপাড়া থানা এলাকার শশী ভূষণ দে স্ট্রিটের বাসিন্দা। সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের কাছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানেই স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে থাকতেন অশোক বাবু। গত ২ তারিখ রাতে ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা পরে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টেও তেমনটাই উল্লেখ রয়েছে।
এলাকার এক বাসিন্দা জানান, স্ত্রীই খুন করেছে তাঁর স্বামীকে এমনটা তিনিও শুনেছেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর সজল ঘোষ জানান, তিনি দেহ দেখেছেন। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু নয়ে বলে তিনিও মনে করছেন।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়েনি।
যদিও পুলিসের তরফে সুয়োমোটো মামলা অর্থাৎ খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
অপরদিকে পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘরের বাইরে সিসিটিভি রয়েছে, সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতের স্ত্রী দিয়া দাস কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্ত্রীই কি স্বামীকে খুন করেছে সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারি কর্তারা।
এর আগে, মালদায় দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীকে খুন করলেন মহিলা ! খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে স্ত্রীকে ৷ খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ৷ শনিবার রাতের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর সালালপুর এলাকায় ৷ ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা ৷ বিয়ের পর ভালোবাসার মানুষটিকে কেন খুন করলেন স্ত্রী ? প্রশ্ন গ্রামবাসীদের ৷ সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিসও ৷
পুলিস সূত্রে খবর, নিহত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ সরকার (31) ৷ বাড়ি উত্তর সালালপুর গ্রামে ৷ গাজোলে 12 নম্বর জাতীয় সড়কের টোল ট্যাক্স গেটে কাজ করতেন বিশ্বজিৎ ৷ পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর 6 বছর আগে পাশের দক্ষিণ সালালপুর গ্রামের যুবতী পম্পা রায়কে বিয়ে করেন বিশ্বজিৎ ৷ দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয় ৷ চার বছরের একটি মেয়েও রয়েছে তাঁদের ৷
জেলার এক পুলিস কর্তা বলেন, “এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পম্পা রায় সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে আজই ধৃতকে আদালতে পেশ করা হচ্ছে ৷ নিহত যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বামনগোলা থানার পুলিশ ৷”
বিশ্বজিতের রোজগারে 3 জনের সংসার ঠিক মতোই চলে যেত ৷ পরিবারের অভিযোগ, কিছুদিন ধরে দু’জনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয় ৷ যদিও কী কারণে তাঁদের এই বিবাদ, জানতে পারেননি কেউ ৷ এই আবহে শনিবার রাতে কাজ থেকে ফেরার পর বিশ্বজিৎকে ঘরে ঢুকতে বাধা দেন পম্পা ৷ এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে ফের বচসা শুরু হয় ৷ বচসা চলাকালীন স্বামী জোর করে ঘরে ঢুকতে গেলে ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁর বামদিকে বুকের কাছে বিঁধিয়ে দেন মহিলা ৷
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
