West Bengal Govt Employee DA case verdict: সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় খবর! DA মামলা নিয়ে আপডেট… কবে হচ্ছে?


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের (West Bengal Govt Employee) দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ (DA) মামলার রায় (Dearness Allowance Case Update) ঘিরে এখন টানটান উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা রাজ্যজুড়ে। সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শেষ হলেও, রায় ঘোষণা কবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। 

Add Zee News as a Preferred Source

ডিএ মামলার রায় কি ঝুলে থাকবে ২০২৬ পর্যন্ত? শীতকালীন ছুটির আগে উৎকণ্ঠায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা (West Bengal)। পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর নজর এখন দিল্লির সুপ্রিম কোর্টের দিকে (Supreme Court)। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার চূড়ান্ত শুনানি গত ৮ই সেপ্টেম্বর শেষ হলেও, রায় ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা যেন কাটছেই না। ডিসেম্বর মাস শেষ হতে চললেও সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল বেঞ্চের কার্য তালিকায় (Cause List) এখনও এই মামলার উল্লেখ না থাকায় সরকারি কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে চরম উদ্বেগ।

শীতকালীন ছুটি ও রায়ের সময়সীমা

সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ২২শে ডিসেম্বর থেকে ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত শীতকালীন ছুটিতে (Winter Vaccation) থাকবে। ৩রা জানুয়ারি শুক্রবার হলেও তার পরপরই শনি ও রবিবার পড়ে যাওয়ায় আদালত পূর্ণাঙ্গভাবে খুলবে ৫ই জানুয়ারি। অর্থাৎ, যদি আজ ১৮ই ডিসেম্বর বা আগামীকাল ১৯শে ডিসেম্বরের মধ্যে রায় ঘোষিত না হয়, তবে চলতি বছরে রায় পাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শূন্য। কর্মচারীদের আশঙ্কা, রায়দান প্রক্রিয়া ২০২৬ সালের শুরুর দিকে পিছিয়ে যেতে পারে।

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ও বিতর্কের নতুন মাত্রা

মামলার এই সন্ধিক্ষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বিজনেস কনক্লেভে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, ‘ডিএ দেওয়া ম্যান্ডেটরি (বাধ্যতামূলক) নয়। তবুও আমরা প্রতি বছর ১৮ শতাংশ হারে ডিএ দিই।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কর্মী সংগঠনগুলো। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, আদালতের রায়ের ওপরই সব নির্ভর করছে, তবে প্রশাসনিক স্তরের এই মন্তব্য কর্মীদের মনে হতাশা বাড়িয়েছে।

কেন বিলম্বিত হচ্ছে রায়দান?

আইনি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণত কোনও মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর রায় ‘রিজার্ভ’ বা সংরক্ষিত রাখা হয়। প্রথা অনুযায়ী অনেক ক্ষেত্রে ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে রায় দেওয়া হলেও, ডিএ মামলার মতো জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিচারপতিরা সময় নিচ্ছেন। বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের স্পেশাল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। আইনজীবীদের একাংশের ধারণা, যদি এই সপ্তাহে রায় না আসে, তবে বিচারপতিরা শীতকালীন ছুটির অবসরে রায় লেখার কাজ সম্পন্ন করবেন এবং জানুয়ারি মাসে আদালত খুললে যেকোনো দিন তা ঘোষণা করা হবে।

আদালতে মামলার দীর্ঘ পথচলা

২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। বহুবার শুনানির তারিখ পিছিয়ে যাওয়ার পর গত মে মাসে বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ-র একটি অংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ম্যারাথন শুনানির শেষে মামলাটি ‘Heard and Reserved’ পর্যায়ে পৌঁছায়।

সরকারি কর্মীদের দীর্ঘদিনের লড়াই এখন চূড়ান্ত মুহূর্তের অপেক্ষায়। একদিকে আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি, অন্যদিকে বকেয়া ডিএ নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে দিশেহারা কয়েক লক্ষ পরিবার। এখন দেখার, ১৯শে ডিসেম্বর শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট কোনো ‘সারপ্রাইজ’ দেয় নাকি রায় পেতে ২০২৬-এর জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

আরও পড়ুন: Massive CNG–PNG price cut: কেন্দ্র সরকারের বিরাট ঘোষণা! নতুন বছরেই বিপুল কমতে চলেছে গ্যাসের দাম…

আরও পড়ুন: Delhi High Court: মিউচুয়াল ডিভোর্সে ১ বছর সেপারেশন মোটেই জরুরি নয়! চাইলেই পেতে পারেন: হাইকোর্ট

 

 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *