অয়ন ঘোষাল: খাস কলকাতায় স্কুলে ফিল্মি কায়দায় মারধর! কাঠগড়ায় সহপাঠীরাই। ইন্টারন্যাল হেমারেজ। শয্যাশায়ী ক্লাস সেভেন পড়ুয়া। থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন আক্রান্তের বাবা-মা। ঘটনাটি ঘটেছে দমদমে।
জানা গিয়েছে, বয়স বারো বছর। দমদমের একটি নামী স্কুলের ছাত্র ওই কিশোর। পরিবারের লোকেদের দাবি, স্কুলে ছেলেকে লাগাতার হেনস্থা করছিল কয়েজন সহপাঠী। শেষে যখন বাবা-মাকে বিষয়টি জানায় ওই পড়ুয়া, কখন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা। সেই আক্রোশেই নাকি ওই পড়ুয়ার উপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা!
অভিযোগ, গত ২৮ নভেম্বর স্কুল বাসে ওঠার সময়ে ওই পড়ুয়াকে ঘিরে ধরে কয়েজন সহপাঠী। দু’জন পিছমোড়া করে হাত ধরে। আর মূল অভিযুক্ত বুট দিয়ে বুকে, হাত-পায়ে এলোপাথারি মারতে থাকে। আক্রান্ত ছাত্রের বাবা বলেন, ‘আমরা যখনই স্কুলকে গিয়ে বললাম আমাদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখান। তখন বলছে, সিসিটিভি ফুটেজ অভিভাবককে দেখানো যায় না। প্রথমে বলেছিল, ক্যামেরাই নেই। পরে বলল, কোনও ফুটেজ নেই। শেষে বলছে, সাধারণ ঘটনা ঘটেছে কোনও মারধর হয়নি। আমার বুথে ব্যাথা শুরু হয়। সোফায় বসে পড়ি’।
এদিকে মায়ের বিস্ফোরক অভিযোগ, প্রথমবার আমি একা গিয়েছিলাম। তখন ক্লাস টিচার বলছিল, পিস্তল নিয়ে এসেছিল। আপনারা কী দেখেননি! মা দিদা ছিল। টিচার বলল নিজের ব্যাগের রাখিনি। অস্ত্রটি নিয়ে অন্যের ব্যাগে রেখে দিল।
এর আগে, বোলপুরের একলব্য মডেল স্কুলে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। সহপাঠীদের মারে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল ক্লাস টেনের ছাত্রকে। ক্লাস চলাকালীন বেঞ্চে বসা নিয়ে অভিযুক্তের সঙ্গে আহত ছাত্রের বচসা বাধে। অভিযোগ, সেই রাতেই হোস্টেলে ওই ছাত্রকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। কিন্তু ওই ছাত্রের পরিবারকে কিছু জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকদের একাংশ।
ওই ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলে র্যাগিংয়ের পরিবেশ বিরাজমান। অভিযুক্ত সহপাঠী সহ আরও কয়েকজন ছাত্র নিয়মিতভাবে সহপাঠীদের ও নিচু শ্রেণির ছাত্রদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও গা করেনি।
কয়েকদিন আগে হায়দরাবাদে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করে কিশোর। আইডি কার্ডের ফিতে দিয়ে নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয় সে। অভিযোগ, অভিযোগ, ইউনিফর্ম নিয়ে তাকে টিটকিরি ও হেনস্থার করত সহপাঠীরাই।
পুলিস সূত্রে খবর, নিহতের নাম প্রশান্ত। হায়দরাবাদের চন্দানগর এলাকার বাসিন্দা ছিল সে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে যখন স্কুল থেকে ফেরে, তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। অভিযোগ, সেই সুযোগেই বাথরুমে দিয়ে স্কুলের আইডি কার্ডের সুতো দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয় ৯ বছরের ওই কিশোর। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
