নান্টু হাজরা: যুবভারতীকাণ্ডে শুক্রবার বিধান নগর কমিশনারেটে নিয়ে গিয়ে শতুদ্র দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিটের চার আইপিএস অফিসার। কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর শুক্রবার শতদ্রু দত্তের কাছে সিট জানতে চায়:
* গোটা ইভেন্টের কী কী পরিকল্পনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কী প্লানিং, এই সব বিষয় নিয়ে কাদের সাথে আলোচনা হয়েছিল?
* পুলিশের সাথে কী কী মিটিং হয়েছিল? এবং ডিসি অনীশ সরকারের সঙ্গে শিডিউল নিয়ে আলোচনা হয়েছিল কিনা?
* বেশ কিছু ইভেন্টের সময়সূচি পরিবর্তন হয়েছিল, সেগুলো কার নির্দেশে হয়েছিল?
* মেসি যখন মাঠে প্রবেশ করবে, যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল, সেই তালিকা ছাড়াও এত লোক কার নির্দেশে ঢুকেছিল?
* মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার আগেই মেসিকে মাঠে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা কার নির্দেশে ছিল?
* এত মানুষকে মাঠে ডাকলে মেসি যখন থাকবে, বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা আন্দাজ করেও কেন মাঠে এত ভিড় বাড়ানো হল?
* মেসি একজন ইন্টারন্যাশনাল প্লেয়ার, সমস্ত কিছু জেনেও কেন এমনটা করা হল?
শতদ্রু দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সমস্ত উত্তর খোঁজারই চেষ্টা করেন সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই কারণেই তাঁকে বিধান নগর কমিশনারেট অফিসে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাশাপাশি, আগের জিজ্ঞাসাবাদে যে বয়ান তিনি দিয়েছিলেন, সেই সমস্ত বিষয় নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শতদ্রু দত্তকে। এমনটাই খবর পুলিস সূত্রে।
সূত্রের খবর, সিটের তদন্তকারী অধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদে শতদ্রু দত্ত সিটকে ‘প্রভাবশালীর চাপে’র কথা জানিয়েছে। সিটের জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্যগুলো উঠে এসেছে সেগুলো হল:
১- শতদ্রু দত্ত সিটকে জানিয়েছে যে, প্রথমে দেড়শো জনের গ্রাউন্ড অ্যাক্সেস কার্ড করা হয়েছিল। কিন্তু পরে ‘প্রভাবশালীর চাপে’ এই সংখ্যাটাকে তিনগুণ বাড়াতে হয়েছিল।
২- অনুষ্ঠানের যে show flow ছিল, মেসি মাঠে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সেই show flow নষ্ট হয়ে যায়। কারণ মাঠে প্রচুর মানুষ ঢুকে পড়ে।
৩- পিঠে হাত দেওয়া বা জড়িয়ে ধরা এগুলো একদমই পছন্দ হয়নি মেসির। মেসি তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক, যে বিদেশ থেকে এসেছিল, তাকে গোটা বিষয়টা জানায়। সেই ব্যক্তি শতদ্রু দত্তকে মাঠের মধ্যেই গোটাটা জানায়।
৪- এরপরই শতদ্রু দত্ত মাঠ খালি করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করেন। বার বার অ্যানাউন্সমেন্ট করতে থাকেন, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
৫- ভারত সফরের জন্য মেসিকে ৮৯ কোটি টাকা দেন শতদ্রু| সঙ্গে ১১ কোটি টাকা ভারত সরকারকে ট্যাক্স বাবদ দিয়েছেন।
৬- এই ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৭০ শতাংশ টাকা স্পন্সরদের কাছ থেকে আসে। বাকি ৩০ শতাংশ আসে টিকিট বিক্রি করে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
