প্রবীর চক্রবর্তী: বয়স একশো ছুঁইছুই। বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না কেন? অভিযোগ পেয়েই তৎপর হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনেন তিনি। বাড়িতে গিয়ে ওই বৃদ্ধের যাবতীয় নথি সংগ্রহ করলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যত দ্রুত সম্ভব যাতে তিনি বার্ধক্য ভাতা পান, সেই ব্য়বস্থা করা হবে।
জনসংযোগ যাত্রায় পূর্ব বর্ধমানে অভিষেক। গতকাল, রবিবার বড় বৈনানে এলাকার মণ্ডলপাড়ার গ্রামে যান তিনি। তখন স্থানীয় বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শুনছিলেন। অভিষেকের দিকে এগিয়ে আসেন ৯৭ বছরের এক বৃদ্ধা। কেন? ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে ওই বৃদ্ধ জানান, বার্ধক্যভাতা পাচ্ছেন না। গ্রামের অনেকেই এখন দলবদলের জন্য় টাকা দিতে চাইছেন। কিন্তু দল ছাড়েননি তিনি।
স্রেফ মৌখিক আশ্বাস নয়, ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আনেন অভিষেক। দেখা যায়, বার্ধক্য ভাতার জন্য কোনও আবেদনই করা হয়নি! তাহলে? এদিন ওই বৃদ্ধের বাড়িতে যান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। নথি সংগ্রহ করেন তাঁরা। এরপর নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মেনে বার্ধক্যভাতা ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্বাস্থ্যকার্ড করিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা চপিয়া কোল। তেভাগা আন্দোলনে শহিদ পরিবারের সদস্য তিনি। সময় লেগেছে মাত্র ৬ দিন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়ে গিয়েছেন চপিয়া কোলে।