অনেক জায়গাই এই মুহূর্তে অন্ধকারাচ্ছন্ন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সোমবার বিকেলের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়। প্রবল ঝড় বৃষ্টির কারণে কয়েক হাজার পোল ও অনেক ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন সন্ধ্যে থেকেই মাননীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী শ্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজে নেমে পড়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।
নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান,পশ্চিম বর্ধমান,পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় প্রচুর বিদ্যুতের পোল পড়ে যায়। একই সঙ্গে এই জেলাগুলোতে অনেক 11 kv ফিডার ব্রেক ডাউন হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, এই জেলাগুলির অনেক জায়গাতেই এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে বেশ কিছু ফিডার ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরের তরফে। আজ সোমবার সারারাত ধরে এই কাজ চলবে বলে জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরের কন্ট্রোল রুম (24×7) এ মাননীয় মন্ত্রী নিজে পর্যবেক্ষণ করছেন। CESC ও WBSEDCL আধিকারিকদের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে মেদিনীপুর শহরেও। টানা ৬ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক মানুষ ক্ষোভ ঝেড়েছেন WBSEDCL কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অনেকেই জানাচ্ছেন, আশেপাশের গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক থাকলেও জেলা সদরে বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিনের ঝড়ে বিদ্যুৎ-এর তার জড়িয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে পাঁশকুড়ায়। পাঁশকুড়া থানার শ্রীধরবসান গ্রামে শেখ আসরফ খান (৬২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজকের ঝড়ের সময় কোনও কারণে তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন।
সেই সময় ইলেক্ট্রিক পোল তাঁর গায়ে পড়ে যায়। সেই সময় তাঁর গায়ে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়। এছাড়াও রাজ্যের বেশ কিছু জায়গা থেকে ঝড়ের কারণে আহত হওয়ার বা মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।