বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়া এত বেআইনিভাবে হয়েছে যে তা বাতিল করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। এত ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে যে কে বৈধভাবে পেয়েছে আর কে অবৈধ ভাবে পেয়েছে সেটা খুঁজে বের করা সম্ভব নয়।”
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “যে দালালরা গ্রেফতার হয়েছে এবং যারা গ্রেফতার হবে তাদের হাতে এত কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে এসেছে? শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা হচ্ছে, হয়তো হবেও। আমি কী করতে পারি ? যারা টাকা নিয়েছে, অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে কথা বলুন। আমি কোনও মন্তব্য করলে তা রাজনৈতিক মন্তব্য বলে মনে হতে পারে, তাই আমি কোন মন্তব্য করছি না।” এদিন এজলাসে উপস্থিত প্রাথমিক শিক্ষক থেকে পার্শ্ব শিক্ষক হওয়াদের উদ্দেশে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
উল্লেখ্য, TET নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিন সেই সংখ্যায় সংশোধন করা হয়েছে। সংখ্যাটা প্রায় ৩২ হাজার। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ ছিল এই শিক্ষকরা আগামী চার মাস প্যারা টিচার বা পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন এবং সেই স্কেলেই বেতন পাবেন।
তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এরপরেই বিক্ষোভ দেখান ওই ‘কর্মচ্যুত’ প্রাথমিক শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তাঁদের কথা না শুনেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই শিক্ষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে পর্ষদ। এই মামলা গিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে। পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়েছিল। মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মামলাটি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন।
তিনি এই ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা অবসাদে ভুগবেন না। বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে যতদূরে যাওয়ার আমরা যাব।”